খুঁজুন
বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫, ১৮ আষাঢ়, ১৪৩২

খাদ্যবাহিত রোগে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় সোয়া ৪ লাখ শিশুর মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:৩১ অপরাহ্ণ
খাদ্যবাহিত রোগে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় সোয়া ৪ লাখ শিশুর মৃত্যু

খাদ্যবাহিত রোগে প্রতিবছর বিশ্বে ৪ লাখ ২০ হাজার শিশুর মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির মতে, মারা যাওয়া এসব শিশুর বয়স পাঁচ বছরের নিচে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এক গবেষণা প্রবন্ধে এ তথ্য তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম।

প্রবন্ধে বলা হয়, খাদ্য বিভিন্নভাবে দূষিত হয়। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস (ছত্রাক), কেমিক্যাল (রাসায়নিক পদার্থ), বিষাক্ত উপাদান। এ ছাড়া, শারীরিকভাবে প্রস্তুত করার সময়ও খাবার দূষিত হতে পারে। খাদ্য বিষাক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ ফরমালিন, ইউরিয়া ও ক্যালসিয়াম কারবাইড ব্যবহার।

প্রবন্ধে বলা হয়, ২০২০ সালে বাংলাদেশে কেবল ডায়রিয়ায় ৩৫ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল এবং ২০২২ সালে কলেরায় মারা গিয়েছিল ১ হাজার ৪০০ মানুষ।

উপস্থাপনায় খাবার সংরক্ষণের বিষয়ে খালেদা ইসলাম বলেন, ‘খাবার সংরক্ষণে আলাদা আলাদা তাক ব্যবহার করতে হবে। সঠিক উপায়ে রান্না করতে হবে। সঠিক তাপমাত্রা সংরক্ষণ এবং নিরাপদ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’

সেমিনারে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে খাদ্য পুষ্টিগুণ বজায় রাখা এবং উত্তম পারিবারিক অনুশীলন বজায় রাখতে হবে। সমাজের সুস্বাস্থ্য উন্নয়নে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ খাদ্য কেবলমাত্র রোগ প্রতিরোধেই সহায়ক নয়, এটি শরীরের সঠিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, খাদ্য আমাদের দেহের শক্তি ও পুষ্টির প্রধান উৎস। কিন্তু নিরাপদ খাদ্যের অভাবে কারণে নানা রোগব্যাধির ঝুঁকি রয়েছে। খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ পদ্ধতির প্রতিটি ধাপে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন। রাসায়নিক মুক্ত ও ভেজালমুক্ত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারি। সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। খাদ্যের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ, শর্করা, চর্বি ও ভিটামিন থাকতে হবে।

অপরদিকে দূষিত ভেজাল খাবার শরীরে নানা রোগের সৃষ্টি হতে পারে যেমন—ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া, ক্যানসার ইত্যাদি। নিরাপদ খাদ্য আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

এতে বলা হয়, বাজার থেকে খাদ্য কেনার সময় গুণগতমান ও মেয়াদ যাচাই করা, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সরকারি আইন ও নীতিমালা অনুসরণ করা, খাদ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রচারণা সচেতনতা বৃদ্ধি করা খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে খাদ্য মান নিয়ন্ত্রণ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজ এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আব্দুল খালেক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ ফয়সাল ইমাম এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস প্রমুখ।

বোচাগঞ্জে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসের অভিযান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৬:০০ অপরাহ্ণ
বোচাগঞ্জে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসের অভিযান

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌরসভার স্বপ্না নার্সারি ও বোচাগঞ্জ নার্সারিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন বোচাগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল হুদা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা।

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা উৎপাদন, রোপণ ও বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, “বোচাগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে মোট ৩৩টি নার্সারি রয়েছে, যার মধ্যে ২২টি নার্সারি সরকারিভাবে নিবন্ধিত। এই নিবন্ধিত নার্সারিগুলোকে প্রতিটি গাছের জন্য ৪ টাকা হারে প্রণোদনা প্রদান করা হবে।”

সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল হুদা বলেন, “খোলা বাজারে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “নিবন্ধনবিহীন কোনো নার্সারিকে প্রণোদনা দেওয়া হবে না। বরং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এসব উদ্ভিদ অপসারণে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও জোরদার করা হবে।”

দিনাজপুর বোর্ডে ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় বহিষ্কার ৬, অনুপস্থিত ১৭৫৭

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৫:১৭ অপরাহ্ণ
দিনাজপুর বোর্ডে ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় বহিষ্কার ৬, অনুপস্থিত ১৭৫৭

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি (আবশ্যিক) ১ম পত্র পরীক্ষায় ছয় পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া এ দিন ১ হাজার ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী জানান, এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় এক লাখ ২ হাজার ৮৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ১ হাজার ১৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এ পরীক্ষায় গাইবান্ধায় দুই জন ঠাকুরগাঁওয়ে চার জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষায় ১ হাজার ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
দিনাজপুর বোর্ডের অধীন আট জেলার অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে – রংপুরে ২৫৬ জন, গাইবান্ধায় ২৩৭, নীলফামারীতে ১৮৯, কুড়িগ্রামে ২৯৮, লালমনিরহাটে ১৪৭, দিনাজপুরে ৩৩৯, ঠাকুরগাঁয়ে ১৫০ ও পঞ্চগড় জেলায় ১৪১ জন।
এছাড়া সব কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় একটি সুপরিকল্পিত ও সফল বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে কলেজ চত্বরে ফলজ, বনজ এবং ঔষধি—এই তিন শ্রেণির নানা প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মো. আবু তাহের সিদ্দিকী—জামায়াতে ইসলামীর দিনাজপুর জেলা ইউনিট সদস্য এবং সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. মাহবুব আলম—জামায়াতে ইসলামীর বোচাগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারি।

অনুষ্ঠানে আরও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুবোধ চন্দ্র রায়—অধ্যাপক, রসায়ন বিভাগ, সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজ এবং জামায়াতে ইসলামী বোচাগঞ্জ উপজেলার যুব বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ।

উপজেলা শিবির সভাপতি আব্দুল মোহাইমিনুল-এর সক্রিয় উপস্থিতি ও তত্ত্বাবধানে পুরো কর্মসূচিটি সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়। তিনি বলেন,
“প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা এবং আগামী প্রজন্মকে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ।”

পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছাত্রদের মাঝে এ কর্মসূচি ব্যাপক উৎসাহ তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক ও অংশগ্রহণকারী ছাত্ররা।