খুঁজুন
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস নিশ্চিতকরণে আইন প্রণয়নসহ ১৫ দাবি

আজকের বোচগঞ্জ ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস নিশ্চিতকরণে আইন প্রণয়নসহ ১৫ দাবি

শুক্রবার (৭ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সমাবেশ ও র‍্যালি থেকে এই দাবিগুলো জানানো হয়েছে। সমাবেশ শেষে র‍্যালিটি প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে পুরোনো পল্টন মোড় হয়ে আবারও প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়েছে।
সমাবেশ থেকে জানানো দাবিগুলো হয়, আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুস্বাক্ষর করতে হবে; নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস নিশ্চিত কারণে আইন প্রণয়ন করা এবং বাস্তবায়ন করা; নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শক্তিশালী আইন প্রণয়ন এবং তার কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এটি নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অপরাধীদের শান্তি প্রদান করবে; কর্মস্থলে নারী হয়রানি এবং নিরাপত্তাহীনতা রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে যাতে নারীরা নির্ভয়ে কাজ করতে পারে এবং তাদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে; নারীদের জন্য নির্যাতন ও হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে তারা সম্মানজনকভাবে কাজ করতে পারবে; ট্রেড ইউনিয়নে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সবার উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।
ট্রেড ইউনিয়নে নারীশ্রমিকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে; শ্রম আইন অনুযায়ী নারী শ্রমিকদের সব অধিকার ও সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে তারা কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগ এবং নিরাপত্তা পায়; প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক জেন্ডার পলিসি গঠন করতে হবে, যা কর্মস্থলে লিঙ্গ সমতার নিশ্চয়তা প্রদান করবে; নারীদের জন্য শিক্ষা, কর্মক্ষেত্রে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে সমান সুযোগ নিশ্চিত করে তাদের ক্ষমতায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অটো মেশিন শিখতে নারী শ্রমিকদের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
গৃহকর্মী এবং প্রান্তিক নারীদের জন্য ন্যায্য মজুরি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা মানবিক মর্যাদা পায়; মাতৃত্বকালীন সুবিধা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সুরক্ষা প্রদান করে নারীদের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে; কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর কমিটি গঠন করতে হবে, যাতে নারীরা নির্ভয়ে কাজ করতে পারে এবং তাদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত থাকে; চুক্তিভিত্তিক নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও নিয়োগপত্র প্রদান করে তাদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়াসহ নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সর্বপ্রকার পরিবেশ দূষণ রোধ করতে হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘অধিকার, সমতা ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা আজকের এই কর্মসূচি পালন করছি। এই কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য হলো, নারী ও কন্যাশিশুর অধিকার নিশ্চিত করা, লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা এবং নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বর্তমান সমাজে নারী এখনো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে সমান সুযোগ সৃষ্টি করা এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি।

তারা আরও বলেন, নারীর মর্যাদা, অর্থনৈতিক মুক্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীরা এবং সহযোদ্ধা পুরুষরা একসঙ্গে এগিয়ে আসে। বিশ্বব্যাপী নারীরা সমানতালে কাজ করলেও এখনো যোগ্য স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত। বিশেষ করে শ্রমজীবী নারীরা এখনো মর্যাদার জন্য লড়াই করছেন, যদিও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদান অসামান্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পে।

সমাবেশে আওয়াজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার বলেন, সর্বপ্রথম নারী শ্রমিককে তাদের শ্রমের মর্যাদা দিতে হবে, কর্মস্থলে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ নারী-পুরুষের সহ-অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বৈষম্যহীন কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। অর্থনৈতিক মুক্তি ও সমতার ভিত্তিতে নারীদের ক্ষমতায়িত করার মাধ্যমে তাদের মর্যাদা, নিরাপত্তা, চাকুরির নিশ্চয়তা, পদোন্নতিতে সম অধিকার এবং ট্রেড ইউনিয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সরকারকে শ্রমিকদের আইনি অধিকার, যথাযথ মজুরি ও নির্যাতনমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চয়তা দিতে হবে। আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুস্বাক্ষর করতে হবে।

সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের একমাত্র উপায় হলো নারী-পুরুষের সমতা ও কাজের মর্যাদা। নারীদের সম অধিকার ও সম সুযোগ নিশ্চিত করে, নিরাপদ এবং নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা টেকসই শিল্প গড়ে তুলব।

সমাবেশ ও র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন আওয়াজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মমতাজ বেগম, পোষাক শ্রমিক উন্নয়ন জনকল্যাণ সংস্থার সভাপতি বিলকিস বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ঊর্মি আক্তার প্রমুখ।

মুক্তিপণের ২৫ লাখ দেওয়ার পরও খোঁজ নেই মিলনের, মানবন্ধন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৪৯ অপরাহ্ণ
মুক্তিপণের ২৫ লাখ দেওয়ার পরও খোঁজ নেই মিলনের, মানবন্ধন

মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা দিয়েও মিলনকে ফিরে পাননি তার বাবা। প্রায় ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও ছেলেকে ফিরে না পেয়ে ভেঙে পড়েছে পরিবারটি। মিলন হোসেন (২৩) পীরগঞ্জ উপজেলার ৩ নং খনগাঁও ইউনিয়নের চাপাপাড়া এলাকার বাসিন্দা পানজাব আলীর ছেলে। তিনি দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র। অপহৃত হওয়া ওই কলেজ শিক্ষার্থীকে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে এবং অপহরণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁওবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধনে অংশ নেন মিলনের পরিবারসহ এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা। মানববন্ধনটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তার কাছে এসে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিলনের মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে অপহরণ করে তারা কোথায় রেখেছে, জানি না; কেমন আছে, জানি না। অপহরণকারীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল, আমরা গরিব খেটে খাওয়া পরিবার সবকিছু বিসর্জন দিয়ে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েছি। মুক্তিপণের দাবি পূরণ করার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও তারা আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়নি।’

তিনি দ্রুত মায়ের কোলে ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার এবং অপহরণকারীদের আটক করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক কলেজের পেছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মিলন। ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে অপহরণকারীরা ভুক্তভোগী পরিবারকে মোবাইলফোনে অপহরণের বিষয়টি জানায়। প্রথমে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা চায় তারা। পরদিন দুপুরে ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় মিলনের পরিবার। তবে পরবর্তীতে চক্রটি ৫ লাখ টাকা দাবি করে, এরপর মুক্তিপণ বেড়ে ১০ লাখ হয়। তিনদিন পর ১৫ লাখ টাকা দাবি করে তারা। সবশেষ ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

৯ মার্চ রাতে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকাগামী ১০টার ট্রেনে উঠতে বলে অপহরণকারীরা। এরপর পীরগঞ্জের সেনুয়া এলাকায় চলন্ত ট্রেন থেকে ২৫ লাখ টাকার ব্যাগটি বাইরে ফেলে দিতে বলে তারা। মিলনের জন্য দুই সেট পোশাকসহ ২৫ লাখ টাকা ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ১০ মিনিট পর অপহরণকারী চক্রটি টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরদিন তারা জানায়, দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে অপহৃত মিলন পাওয়া যাবে। কিন্তু স্টেশনে গিয়ে মিলনকে পাওয়া যায়নি।

লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি

আজকের বোচাগঞ্জ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:৪৮ অপরাহ্ণ
লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি

oppo_0

দিনাজপুর জেলায় আম ও লিচু বাগানের সংখা অনেক। প্রতিটি বাগানের নিচের অংশে হাজার হাজার একর জমি ফাকা পড়ে থাকে। সেই পতিত(বাগানের নিচে)র জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষ শুরু করেছেন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার নেহালগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক হুমায়ুন কবির জনি। প্রথমবার মিষ্টি কুমড়া চাষ করে তিনি পেয়েছেন সফলতা। মিষ্টি কুমড়া চাষ করে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছেন তিনি। তার সফলতা দেখে আম/লিচু বাগানে কুমড়া চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষক। আম/লিচু বাগানে কুমড়া চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। জানা গেছে, হুমায়ুন কবির জনি দিনাজপুর থেকে ১ হাজার দুইশতটি বীজ কিনে এনে বাসায় চারা তৈরি করেন এবং এক একর জমির লিচু বাগানে সেই চারা রোপণ করেন। গত জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন জাতের মিষ্টি কুমড়ার চারা রোপণ করে প্রতিটি কুমড়া গাছে ১০টির বেশি কুমড়ার অংকুর হলেও তিনি ৫ থেকে ৬টি কুমড়া সংগ্রহ করছেন। লিচু বাগানে হুমায়ুন কবির জনির মিষ্টি কুমড়া আবাদ দেখতে আসা কৃষক আঃ রহিম বলেন, ‘আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে আজ লিচুর বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি দেখতে এসেছি। দেখে খুব ভালো লাগল। আমিও আগামী বছর আমার আম বাগনে মিষ্টি কুমড়া চাষ করব।’ কৃষি উদ্যোক্তা হুমায়ুন কবির জনি বলেন, ‘আমি লিচু বাগানে তিন জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। এই কুমড়া আবাদ করতে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশা করি, এই মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মতো আয় হবে।’ লিচু বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষের এই পদ্ধতি কোথায় থেকে পেয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এই পদ্ধতি নিজে চিন্তা করে প্রয়োগ করেছি। কারণ লিচু বাগানের নিচের পতিত জমিটি সাধারণত পড়ে থাকে। তাই আমি প্রথমবার সেই পতিত জমিতে কুমড়া চাষ করেছি এবং সফলতা পেয়েছি।’ বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার শাহা বলেন, ‘বোচাগঞ্জ উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নে হুমায়ুন কবির জনি নামের এক কৃষক এক একর জমিতে প্রথমবারের মতো লিচু বাগানে কুমড়া আবাদ করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা তাকে কারিগরি পরামর্শ প্রদানসহ বিভিন্ন সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে এবং কৃষক লাভবান হবেন। আমি হুমায়ুন কবির জনির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

বোচাগঞ্জে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

মোঃ শামসুল আলম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:১৪ অপরাহ্ণ
বোচাগঞ্জে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

“আমিষেই শক্তি, আমিষেই মুক্তি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে বৃহস্পতিবার খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ করেছে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর বোচাগঞ্জ।

সকাল ১১টায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর হতে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে গবাদী পশু ও পাখির খাদ্য, মেডিসিন, ভ্যাকসিন, গবাদী পশু ও পাখির ঘর নির্মাণ উপকরণ, প্রযুক্তি উপকরণ, চপার মেশিন, বিতরণের অংশ হিসেবে ৩০জন জন সুফল ভোগীর প্রত্যেককে ১টি ট্রোলী, ১টি বেলচা, ২পিছ ফ্লোরমেট ও ১পিছ ল্যাক্টো মিটার মেশিন দেয়া হয়েছে। সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ এর পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু কায়েস বিন আজিজ বলেন, আমরা খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য খামারীদের বিভিন্ন ধরণের উপকরণ প্রদান করছি।

খামারীরা এই উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে সুন্দর সাবলীল ভাবে খামার পরিচালনা করতে পারবেন। এতে গবাদী পশুর উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে যা জাতীয় অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখবে। আমরা আশা করব এই উপকরণ পেয়ে খামারীরা খামার করার প্রতি আরো বেশী উদ্বুদ্ধ হবে এবং প্রাণী সম্পদের সাথে আরও বেশী জরিত হবে। এসময় উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ নিহারঞ্জন প্রামানিক, উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান রিমন, সেতাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোঃ শামসুল আলম সহ এলাকার সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।