খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন, ১৪৩১

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জিতে আফগানিস্তানের ইতিহাস, বিদায় ইংল্যান্ডের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জিতে আফগানিস্তানের ইতিহাস, বিদায় ইংল্যান্ডের

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। হাতে কোনো উইকেট বাকি ছিল না অবশ্য।

প্রথম চার বলে দুই রান করে চার রান নিলেন আদিল রশিদ ও মার্ক উড। কিন্তু পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলে দেন রশিদ। ৮ রানের হারে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। অপরদিকে উল্লাসে মেতে ওঠে আফগানিস্তান। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এসে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল তারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হার দিয়ে শুরু করা আফগানিস্তান আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস ভাগ্য জিতে। ব্যাট করতে নেমে তারা ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩২৫ রান। যা তাড়া করতে নেমে ৩১৭ রান পর্যন্ত যায় ইংল্যান্ড। এর মধ্যেই হারিয়ে ফেলে সবগুলো উইকেট। ফলে ৮ রানের জয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখল আফগানরা।

হার দিয়ে আসর শুরু করা ইংল্যান্ড আজ বোলিংয়ে দারুণ শুরু পেয়েছিল। বিশেষ করে জফরা আর্চারকে ঠিকমতো সামাল দিতে পারছিলেন না আফগান ব্যাটাররা। যে কারণে দলীয় ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর শহীদির (৬৭ বলে ৪০ রান) সঙ্গে ১০০-এর বেশি রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন ইব্রাহীম।

দলীয় ১০৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর আফগানিস্তান এরপর আর থেমে থাকেনি। প্রথমে আজমতউল্লাহ ওমরজাই (৩১ বলে ৪১ রান) ও পরে মোহাম্মদ নবিকে নিয়ে দলকে রানের পাহাড়ে নিয়ে যান ইব্রাহীম। তিনি নিজে করেন ১৭৭ রান। ১৪৬ বল স্থায়ী ইনিংসে ১২টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন আফগান ওপেনার। পাশাপাশি দুটি রেকর্ডও গড়েন তিনি।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন ইব্রাহীম। এর আগে এই আসরেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লাহোরে বেন ডাকেটের ১৬৫ রান ছিল সর্বোচ্চ। আফগানিস্তানের জার্সিতেও এটি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ২০২২ সালে পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬২ রান করে আগের রেকর্ডটির মালিকও ছিলেন ইব্রাহীম-ই।

রান তাড়ায় নেমে চতুর্থ ওভারেই ফিল সল্টকে (১২) হারায় ইংল্যান্ড। তিনে নেমে জেমি স্মিথ কেবল যোগ করেন ৯ রান। আরেক ওপেনার বেন ডাকেট লড়েন কিছুক্ষণ। কিন্তু ৩৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। চারে নেমে দলের হাল ধরেন জো রুট। একপ্রান্তে একাই লড়াই চালাতে থাকেন তিনি। কিন্তু অপরপ্রান্তে তাকে ঠিকঠাক সঙ্গ দিতে পারছিলেন না কেউই।

পাঁচে নামা হ্যারি ব্রুক ২১ বলে ২৫ রান করে উইকেট হারান। জস বাটলারের সঙ্গে অবশ্য ভালো জুটি গড়েন রুট। তাদের ৯১ বলে করা ৮৩ রানের জুটিটি ভেঙে দেন ওমরজাই। ৪২ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন ইংলিশ অধিনায়ক। এরপর লিভিংস্টোনের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। সপ্তম উইকেটে জেমি ওভারটনের সঙ্গে জুটি গড়েন রুট। ৫০ বলে ফিফটি হাকানো এই ব্যাটার পরের পঞ্চাশ পূর্ণ করেন ৪৮ বলে। শতক হাকিয়েও লড়াই চালাতে থাকেন তিনি।

কিন্তু জয় এনে দিতে পারেননি। ওমরজাইয়ের শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ১১১ বলে তার ১২০ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চার ও এক ছক্কায়। লড়তে থাকা ওভারটন লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। ২৮ বলে ৩২ রান করে বিদায় নেন তিনি। শেষদিকে জয়ের সম্ভাবনা ছিল অনেকটাই। কিন্তু পারেনি ইংলিশরা। জফরা আর্চার ১৪ ও আদিল রশিদ ৫ রানে বিদায় নিলে এক বল আগেই পরাজিত হয় তারা।

আফগানিস্তানের হয়ে বল হাতে আলো ছড়ান আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৯.৫ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। দুটি উইকেট পান মোহাম্মদ নবি। একটি করে নেন ফারুকি, রশিদ ও গুলবাদিন নাইব।

লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি

আজকের বোচাগঞ্জ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:৪৮ অপরাহ্ণ
লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি

oppo_0

দিনাজপুর জেলায় আম ও লিচু বাগানের সংখা অনেক। প্রতিটি বাগানের নিচের অংশে হাজার হাজার একর জমি ফাকা পড়ে থাকে। সেই পতিত(বাগানের নিচে)র জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষ শুরু করেছেন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার নেহালগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক হুমায়ুন কবির জনি। প্রথমবার মিষ্টি কুমড়া চাষ করে তিনি পেয়েছেন সফলতা। মিষ্টি কুমড়া চাষ করে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছেন তিনি। তার সফলতা দেখে আম/লিচু বাগানে কুমড়া চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষক। আম/লিচু বাগানে কুমড়া চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। জানা গেছে, হুমায়ুন কবির জনি দিনাজপুর থেকে ১ হাজার দুইশতটি বীজ কিনে এনে বাসায় চারা তৈরি করেন এবং এক একর জমির লিচু বাগানে সেই চারা রোপণ করেন। গত জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন জাতের মিষ্টি কুমড়ার চারা রোপণ করে প্রতিটি কুমড়া গাছে ১০টির বেশি কুমড়ার অংকুর হলেও তিনি ৫ থেকে ৬টি কুমড়া সংগ্রহ করছেন। লিচু বাগানে হুমায়ুন কবির জনির মিষ্টি কুমড়া আবাদ দেখতে আসা কৃষক আঃ রহিম বলেন, ‘আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে আজ লিচুর বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি দেখতে এসেছি। দেখে খুব ভালো লাগল। আমিও আগামী বছর আমার আম বাগনে মিষ্টি কুমড়া চাষ করব।’ কৃষি উদ্যোক্তা হুমায়ুন কবির জনি বলেন, ‘আমি লিচু বাগানে তিন জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। এই কুমড়া আবাদ করতে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশা করি, এই মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মতো আয় হবে।’ লিচু বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষের এই পদ্ধতি কোথায় থেকে পেয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এই পদ্ধতি নিজে চিন্তা করে প্রয়োগ করেছি। কারণ লিচু বাগানের নিচের পতিত জমিটি সাধারণত পড়ে থাকে। তাই আমি প্রথমবার সেই পতিত জমিতে কুমড়া চাষ করেছি এবং সফলতা পেয়েছি।’ বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার শাহা বলেন, ‘বোচাগঞ্জ উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নে হুমায়ুন কবির জনি নামের এক কৃষক এক একর জমিতে প্রথমবারের মতো লিচু বাগানে কুমড়া আবাদ করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা তাকে কারিগরি পরামর্শ প্রদানসহ বিভিন্ন সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে এবং কৃষক লাভবান হবেন। আমি হুমায়ুন কবির জনির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

বোচাগঞ্জে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

মোঃ শামসুল আলম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:১৪ অপরাহ্ণ
বোচাগঞ্জে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

“আমিষেই শক্তি, আমিষেই মুক্তি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে বৃহস্পতিবার খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ করেছে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর বোচাগঞ্জ।

সকাল ১১টায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর হতে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে গবাদী পশু ও পাখির খাদ্য, মেডিসিন, ভ্যাকসিন, গবাদী পশু ও পাখির ঘর নির্মাণ উপকরণ, প্রযুক্তি উপকরণ, চপার মেশিন, বিতরণের অংশ হিসেবে ৩০জন জন সুফল ভোগীর প্রত্যেককে ১টি ট্রোলী, ১টি বেলচা, ২পিছ ফ্লোরমেট ও ১পিছ ল্যাক্টো মিটার মেশিন দেয়া হয়েছে। সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ এর পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু কায়েস বিন আজিজ বলেন, আমরা খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য খামারীদের বিভিন্ন ধরণের উপকরণ প্রদান করছি।

খামারীরা এই উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে সুন্দর সাবলীল ভাবে খামার পরিচালনা করতে পারবেন। এতে গবাদী পশুর উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে যা জাতীয় অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখবে। আমরা আশা করব এই উপকরণ পেয়ে খামারীরা খামার করার প্রতি আরো বেশী উদ্বুদ্ধ হবে এবং প্রাণী সম্পদের সাথে আরও বেশী জরিত হবে। এসময় উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ নিহারঞ্জন প্রামানিক, উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান রিমন, সেতাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোঃ শামসুল আলম সহ এলাকার সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তাপাড়ের মানুষদের কথা শুনলেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:৩৯ অপরাহ্ণ
তিস্তাপাড়ের মানুষদের কথা শুনলেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা

তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক প্রস্তাবিত প্রকল্পের ওপর অংশীজনদের কথা শুনলেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা।

বুধবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় তিস্তাপাড়ের মানুষ, তিস্তা নদীরক্ষা আন্দোলনকারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাদের মতামত তুলে ধরেন।

এর আগে, শুরুতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রত্যাশী ‘পাওয়ার চায়না’র পক্ষে তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পের সামগ্রিক বিষয় পাওয়ার প্লান্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন প্রকল্পের সিনিয়র এক্সপার্ট মকবুল হোসেন।

এতে বলা হয়, পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে ১১০ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং, ২২৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ, মেরামত ও বাঁধের ওপরে রাস্তা নির্মাণ, ৬৭টি গ্রোয়েন নির্মাণ করার পাশাপাশি প্রায় ১৭১ বর্গকিলোমিটার ভূমি পুনরুদ্ধার করা হবে।

এছাড়াও প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুবিধা ভোগ করবে তিস্তাপাড়ের মানুষ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নদী গবেষক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, তিস্তা হচ্ছে সারা বাংলাদেশের মধ্যে ভিন্নতর নদী এই নদীতে আমরা মার্চ মাসে গিয়ে একটা গ্রাম দেখলাম এপ্রিল মাসে গিয়ে আমরা হয়ত সেই গ্রাম টা খুঁজে পাবো না পানিতে চলে গেছে। আবার এপ্রিল মাসে গিয়ে দেখবো সেখানে চড় জেগে উঠেছে নদী নিয়ে আরও বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। নদী পাড়ের মানুষদের জমির মালিকানা নিয়ে কথা বলেন এই নদী গবেষক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান, পাওয়ার চায়নার কান্ট্রি ম্যানেজার হান কুন,

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুস সাত্তার, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম- সূখ্য, সংগঠন আবু সাঈদ লিওন সহ অন্যান্যরা এসময় বক্তব্য দেন।