খুঁজুন
শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৭ চৈত্র, ১৪৩১

অপহরণের ২৫ দিন পর মিলল যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৯:২৪ অপরাহ্ণ
অপহরণের ২৫ দিন পর মিলল যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ

ঠাকুরগাঁওয়ে অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মিলন হোসেন নামের এক যুবককে অপহরণের ২৫ দিন পর তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সেজান আলী, মুরাদসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেহরির সময় সদর উপজেলার শিবগঞ্জ মহেশপুর বিট বাজার এলাকায় অপহরণকারী সেজান আলীর বাড়ির পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে মিলনের অর্ধগলিত অর্ধগলিত উদ্ধার করে। এতে ভোরে বিক্ষুব্ধ জনতা অপহরণকারী সেজানের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে গেলেও তারদের আগুন নেভাতে বাধা দেয় বিক্ষুদ্ধরা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করে স্থানীয়রা। এঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে মিলনের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মামুনুর রশিদ।

২৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মিলন হোসেন দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র ও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাও এর চাপাপাড়া এলাকার পানজাব আলীর ছেলে।
ঠাকুরগাঁও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, বুধবার রাতে মিলনকে অপহরণে ঘটনায় আমরা দুইজনকে গ্রেফতার করি। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে ও তাদের দেখানো মতে, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। এছাড়াও পরে বৃহস্পতিবার এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত আছে।জানা যায়, অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজপড়ুয়া মিলনকে অপহরণ করে এক চক্র। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পিছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই নিখোঁজ হন মিলন। ঘটনার দিন রাত ১টার সময় ভুক্তভোগী পরিবারকে মুঠোফোনে অপহরণের বিষয়টি জানায় অপহরণকারীরা। প্রথমে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা চায় অপহরণকারীরা। পরদিন দুপুরে ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় মিলনের পরিবার। তবে পরে চক্রটি ৫ লাখ দাবি করে। পরদিন আরও বেড়ে ১০ লাখ হয়। তিনদিন পরে ১৫ লাখ চায় চক্রটি। সবশেষে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র। রোববার (৯ মার্চ) রাতে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা অপহরণকারী চক্রের কাছে বুঝিয়ে দেয় অপহৃত মিলনের বাবা পানজাব আলী। এরপর মিলনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে, জমি জায়গায় বিক্রি ও ধারদেনা করে ২৫ লাখ টাকা দিয়েও ছেলেকে জীবিত না পেয়ে মিলনের পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ লক্ষ ৭১ হাজার মানুষের চিকিৎসার জন্য ১জন ডাক্তার ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজনরা

ফরিদ আহমেদ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৯:৪১ অপরাহ্ণ
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ১ লক্ষ ৭১ হাজার মানুষের চিকিৎসার জন্য ১জন ডাক্তার ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজনরা

চিকিৎসক সংকটের কারণে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভোগান্তিতে পরেছে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। উপজেলার প্রায় ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৭১৯ জন মানুষের চিকিৎসার জন্য নির্মিত ৫০ শয্যা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম। ফলে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বিজয় কুমার রায় নিজেই আবাসিক রোগীদের দেখা থেকে শুরু করে বহির্বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া সহ সব কাজে তাকে করতে হচ্ছে, এতে প্রশাসনিক কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। প্রতিদিন জরুরি বিভাগে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এত সংখ্যক চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বিজয় কুমার রায় জানান,চিকিৎসক সংকটের কথা আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। আমি আমার পক্ষ থেকে চেষ্টা করতেছি। চিকিৎসক সংকটের কারনে উপজেলার মানুষ অনেকটা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে দিনাজপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আসিফ ফেরদৌস জানান, বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন, একজন ফাউন্ডেশন ট্রেনিং আছেন, আরেক জন অসুস্থ, অন্যজন হাসপাতালে ডিউটিরত আছেন, নতুন করে আরও একজন যোগদানের আদেশ হয়েছে। ২-১দিনের মধ্যে তিনি যোগদান করবেন। তিনি আরো বলেন আমি সিভিল সার্জন হিসেবে আমার চিকিৎসক পদায়নের ক্ষমতা নেই, চিকিৎসক পদায়নের ক্ষেত্রে সব প্রক্রিয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নেওয়া হয়।

ঈদে ছুটি বাড়ল আরও এক দিন

আজকের বোচাগঞ্জ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৯:৩৪ অপরাহ্ণ
ঈদে ছুটি বাড়ল আরও এক দিন

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ছুটি আরও এক দিন বাড়ানো হয়েছে। আগেই পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার, কিন্তু বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এক নির্বাহী আদেশে ৩ এপ্রিলও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে, এবার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি পাবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ৩ এপ্রিল ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই হিসাব অনুযায়ী, পূর্বে নির্ধারিত ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ দিনের ঈদের ছুটির সঙ্গে শুক্রবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক ছুটি এবং শবে কদরের ছুটিও যুক্ত হবে। এতে করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি পাবেন।
তবে, ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) অফিস খোলা থাকবে। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের পর ২৭ মার্চ একদিন অফিস হবে, তারপর ২৮ মার্চ থেকে শুরু হবে দীর্ঘ ছুটি।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ছুটি বিধিমালা অনুযায়ী, কর্মচারীরা সাধারণত দুই ছুটির মধ্যে নৈমিত্তিক ছুটি নিতে পারেন না, তবে ঐচ্ছিক ছুটির সুযোগ রয়েছে। তাদের প্রতি বছর তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে।

পঞ্চগড়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরি, মূল্য তালিকা না রাখা ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ৯:০৬ অপরাহ্ণ
পঞ্চগড়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরি, মূল্য তালিকা না রাখা ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

পঞ্চগড়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরি, মূল্য তালিকা না রাখা সহ নানা অভিযোগে চারটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে নয় হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা শহরের এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করেন পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসান।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিস ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় হোটেল হাইওয়েকে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরি, হোটেল নুরজাহানকে মেয়াদ ছাড়া খাবার সংরক্ষণ করা, সপ্ন সুপার সপে মূল্য তালিকা না রাখায় সহ নানা অভিযোগে চারটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে নয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে ইফতার বাজার মনিটরিং সহ বিভিন্ন মুদি দোকান পরিদর্শন করা হয়। এ সময় আনুমানিক ১০ কেজি রংযুক্ত চিপস জব্দ ও ধ্বংস করা হয় এবং নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুযায়ী সতর্ক করা হয়।

এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জয় চন্দ্র রায়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পঞ্চগড় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম উদ দৌলা, সদর নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ও পৌর নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, জেলা পুলিশ ও আনসারের একটি দল।

এ বিষয়ে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জয় চন্দ্র রায় বলেন, জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এলাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা ও ব্যবসায়ীদের সর্তক করা হয়। তবে যারা আইন অমান্য করছে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। জনস্বার্থে আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।