খুঁজুন
বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫, ১৮ আষাঢ়, ১৪৩২

এনসিপি’র ২১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫, ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ
এনসিপি’র ২১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ২১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদিত হয়েছে।
শনিবার (১ মার্চ) দিবাগত রাতে দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সই করা এক পত্রে কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।এতে বলা হয়ে, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে বাংলাদেশের নাগরিকরা মুক্ত হয়েছে। তবে শহীদ মিনারে ঘোষিত অভ্যুত্থানের এক দফা তথা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। একটি রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে এই জনপদের মানুষ ইতিহাসের নানান সময়ে নিজেদের হাজির করেছে। প্রায় ২০০ বছরের উপনিবেশবিরোধী লড়াইয়ের অংশ হিসেবে পাকিস্তান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা ১৯৪৭ সালে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করি। কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্র এই জনপদের মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষকে ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

মুক্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে এই জনপদের মানুষ ১৯৭১ সালে একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে প্রণীত মুজিববাদী সংবিধানের মধ্য দিয়ে নির্মিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দিয়েছে। যার ফলে এ দেশের নাগরিকরা ইতিহাসের বিভিন্ন পরিক্রমায় বাকশাল, স্বৈরতন্ত্র এবং সর্বশেষ ফ্যাসিবাদের শিকার হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো থেকে ফ্যাসিবাদের সকল উপাদান ও কাঠামোকে বিলোপ করতে এবং এই জনপদের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপদানে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আমরা, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা, ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করেছি।

জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম বীর যোদ্ধা শহীদ ইসমাঈলের বোন মিম আক্তার জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করেন। উক্ত আহ্বায়ক কমিটি (আংশিক) আগামী এক বছরের মধ্যে এই রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র ও ইশতেহার প্রণয়ন, কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও সাংগঠনিক বিস্তার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

কমিটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, মনিরা শারমিন, মাহবুব আলম, সারোয়ার তুষার, অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, তাজনূভা জাবীন, সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া, ড. আতিক মুজাহিদ, আশরাফ উদ্দীন মাহাদী, অর্পিতা শ্যামা দেব, তানজিল মাহমুদ, অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ রাসিন, এহতেশাম হক ও হাসান আলী।

আরও পড়ুন: সরকারি খরচে এনসিপি নেতাকর্মীদের বাস, অভিযোগের ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব

সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিভা, যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, আরিফ সোহেল, মো. রশিদুল ইসলাম (রিফাত রশিদ), মো. মাহিন সরকার, মো. নিজাম উদ্দিন, আকরাম হুসেইন, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, সালেহ উদ্দিন সিফাত (দপ্তর), আলাউদ্দীন মোহাম্মদ, ফরিদুল হক, মো: ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, লুৎফর রহমান, মো. মঈনুল ইসলাম (তুহিন), মুশফিক উস সালেহীন, ডা. জাহেদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম মুসা, অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর, মোশফিকুর রহমান জোহান, মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান, সাগুফতা বুশরা মিশমা, আফসানা ছপা, আহনাফ সাইদ খান, আবু সাঈদ মোহাম্মদ সুজা উদ্দিন, মীর আরশাদুল হক, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), মশিউর রহমান, জয়নাল আবেদীন শিশির, গাজী সালাউদ্দীন তানভীর, তামিম আহমেদ, তাহসীন রিয়াজ ও প্রীতম দাশ।

উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক- সাইফুল্লাহ হায়দার, আলী নাছের খান, সাকিব মাহদী, মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাদিয়া ফারজানা দিনা, অলিক মৃ, আসাদুল্লাহ আল গালিব, হানিফ খান সজীব, আবু সাঈদ লিয়ন। সংগঠক: রাসেল আহমেদ, ইমরান ইমন, ফরহাদ সোহেল, রফিকুল ইসলাম আইনী, মোস্তাক আহমেদ শিশির, আজাদ খান ভাসানী, প্রীতম সোহাগ, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, এম এম শোয়াইব, নাহিদ উদ্দিন তারেক, আব্দুল্লাহ আল মনসুর, মিয়াজ মেহরাব তালুকদার, অ্যাডভোকেট শিরীন আক্তার শেলী, আবুল বাশার, আব্দুল্লাহ আল মুহিম, নাজমুল হাসান সোহাগ, খায়রুল কবির ও সাঈদ উজ্জ্বল।

দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক- মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, ডা. মাহমুদা আলম মিতু, মোল্যা রহমাতুল্লাহ, এস এম শাহরিয়ার, মেজবাহ কামাল মুন্না, জোবাইরুল হাসান আরিফ ও ইমন সৈয়দ। সংগঠক: আকরাম হোসাইন রাজ, হামযা ইবনে মাহবুব, ওয়াহিদুজ্জামান আসাদ বিন রনি, মোহাম্মাদ রাকিব, আরমান হোসাইন, মো. রাসেল আহমেদ, অ্যাডভোকেট মনজিলা ঝুমা, শওকত আলী, ডা. আশরাফুল ইসলাম সুমন, মুনতাসির মাহমুদ, ডা. মিনহাজুল আবেদীন, সাকিব শাহরিয়ার, আজিজুর রহমান রিজভী, আব্দুর রহমান, ফয়সাল আহমেদ, নয়ন আহমেদ, কাউছার হাবিব, আব্দুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিহান, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, আরিফুল ইসলাম, নফিউল ইসলাম, মো. রাকিব হোসেন।

মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। যুগ্ম সমন্বয়ক: অ্যাডভোকেট মোঃ তারিকুল ইসলাম (যুব), ডা. মো: আব্দুল আহাদ (চিকিৎসা), মাজহারুল ইসলাম ফকির (শ্রমিক), দিলশানা পারুল, আবু হানিফ, আব্দুজ জাহের, কৃষিবিদ গোলাম মোর্তজা সেলিম, মেহেরাব সিফাত, অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ, আশেকীন আলম, ডা. জাহিদুল বারী, কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস, ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু, শেখ মোহাম্মদ শাহ মঈনুদ্দিন, খান মুহাম্মদ মুরসালীন, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, নাভিদ নওরোজ শাহ, তুহিন মাহমুদ, মো. আরিফুর রহমান (তুহিন), সাগর বড়ুয়া, রাফিদ এম ভূঁইয়া, মাহবুব আলম।

আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন: সানজিদা খান দীপ্তি (শহীদ আনাসের মা), খোকন চন্দ্র বর্মন (আহত), মো. ফাহিম রহমান খান পাঠান, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের (সন্দ্বীপ), ঋআজ মোরশেদ, ইমরান নাঈম, মশিউর আমিন শুভ, আল আমিন শুভ, প্লাবন তারিক, ওমর ফারুক, আসাদুল ইসলাম মুকুল, ফিহাদুর রহমান দিবস, মো. তৌহিদ আহমেদ আশিক, মো. আব্দুল মুনঈম, রকিব মাসুদ ইনজামুল হক রামিম, সৈয়দা নীলিমা দোলা, এস আই শাহীন, আসাদুজ্জামান হৃদয়, তানহা শান্তা, ডা. মশিউর রহমান, ইমরান শাহরিয়ার, এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, আব্দুল্লাহিল মামুন নিলয়, আজাদ আহমেদ পাটওয়ারী, জাহিদুল ইসলাম সৈকত, আরজু নায়েম, ডা. মনিরুজ্জামান, তাওহিদ তানজিম, মোহাম্মদ উসামা, মাহবুব-ই-খোদা, তারিক আদনান মুন, নাহিদা বুশরা, তৌহিদ হোসেন মজুমদার, মারজুক আহমেদ, নীলা আফরোজ, নূরতাজ আরা ঐশী, সাইয়েদ জামিল, শেখ খায়রুল কবির আহমেদ, রফিকুল ইসলাম কনক, মীর হাবীব আল মানজুর, মো. ইমরান হোসেন।

আরও রয়েছেন: মো. আরিফুল দাড়িয়া, মো. ইনজামুল হক, আবু সাঈদ মুসা, ডা. আতাউর রহমান রাজিব, সালমান জাভেদ, ইমামুর রশিদ, সাইফুল ইসলাম, ডা. সাবরিনা মনসুর, অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ছেফায়েত উল্লাহ, আহমেদুর রহমান তনু, দিদার শাহ, রাদিথ বিন জামান, ফারিবা হায়দার, সাইফুল ইসলাম, ইয়াহিয়া জিসান, সোহেল রানা, রিদওয়ান হাসান, হাসিব আর রহমান, ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ, জাওয়াদুল করিম, আল আমিন টুটুল, ইসমাইল হোসেন সিরাজি, ইফতেখারুল ইসলাম, হাফসা জাহান, জায়েদ বিন নাসের, মামুন তুষার, ওমর ফারুক, সালাহউদ্দিন জামিল সৌরভ, মো. হিফজুর রহমান বকুল, আসিফ মোস্তফা জামাল, জোবায়ের আলম, মেজর (অব.) মো. সালাউদ্দিন ও খালেদ সাইফুল্লাহ জুয়েল।

বোচাগঞ্জে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসের অভিযান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৬:০০ অপরাহ্ণ
বোচাগঞ্জে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসের অভিযান

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌরসভার স্বপ্না নার্সারি ও বোচাগঞ্জ নার্সারিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন বোচাগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল হুদা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা।

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা উৎপাদন, রোপণ ও বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, “বোচাগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে মোট ৩৩টি নার্সারি রয়েছে, যার মধ্যে ২২টি নার্সারি সরকারিভাবে নিবন্ধিত। এই নিবন্ধিত নার্সারিগুলোকে প্রতিটি গাছের জন্য ৪ টাকা হারে প্রণোদনা প্রদান করা হবে।”

সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল হুদা বলেন, “খোলা বাজারে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “নিবন্ধনবিহীন কোনো নার্সারিকে প্রণোদনা দেওয়া হবে না। বরং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এসব উদ্ভিদ অপসারণে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও জোরদার করা হবে।”

দিনাজপুর বোর্ডে ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় বহিষ্কার ৬, অনুপস্থিত ১৭৫৭

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৫:১৭ অপরাহ্ণ
দিনাজপুর বোর্ডে ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় বহিষ্কার ৬, অনুপস্থিত ১৭৫৭

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি (আবশ্যিক) ১ম পত্র পরীক্ষায় ছয় পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া এ দিন ১ হাজার ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী জানান, এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় এক লাখ ২ হাজার ৮৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ১ হাজার ১৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এ পরীক্ষায় গাইবান্ধায় দুই জন ঠাকুরগাঁওয়ে চার জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষায় ১ হাজার ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
দিনাজপুর বোর্ডের অধীন আট জেলার অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে – রংপুরে ২৫৬ জন, গাইবান্ধায় ২৩৭, নীলফামারীতে ১৮৯, কুড়িগ্রামে ২৯৮, লালমনিরহাটে ১৪৭, দিনাজপুরে ৩৩৯, ঠাকুরগাঁয়ে ১৫০ ও পঞ্চগড় জেলায় ১৪১ জন।
এছাড়া সব কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় একটি সুপরিকল্পিত ও সফল বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে কলেজ চত্বরে ফলজ, বনজ এবং ঔষধি—এই তিন শ্রেণির নানা প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মো. আবু তাহের সিদ্দিকী—জামায়াতে ইসলামীর দিনাজপুর জেলা ইউনিট সদস্য এবং সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. মাহবুব আলম—জামায়াতে ইসলামীর বোচাগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারি।

অনুষ্ঠানে আরও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুবোধ চন্দ্র রায়—অধ্যাপক, রসায়ন বিভাগ, সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজ এবং জামায়াতে ইসলামী বোচাগঞ্জ উপজেলার যুব বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ।

উপজেলা শিবির সভাপতি আব্দুল মোহাইমিনুল-এর সক্রিয় উপস্থিতি ও তত্ত্বাবধানে পুরো কর্মসূচিটি সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়। তিনি বলেন,
“প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা এবং আগামী প্রজন্মকে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ।”

পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছাত্রদের মাঝে এ কর্মসূচি ব্যাপক উৎসাহ তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক ও অংশগ্রহণকারী ছাত্ররা।