খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন, ১৪৩১

খাদ্যবাহিত রোগে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় সোয়া ৪ লাখ শিশুর মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:৩১ অপরাহ্ণ
খাদ্যবাহিত রোগে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় সোয়া ৪ লাখ শিশুর মৃত্যু

খাদ্যবাহিত রোগে প্রতিবছর বিশ্বে ৪ লাখ ২০ হাজার শিশুর মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির মতে, মারা যাওয়া এসব শিশুর বয়স পাঁচ বছরের নিচে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এক গবেষণা প্রবন্ধে এ তথ্য তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম।

প্রবন্ধে বলা হয়, খাদ্য বিভিন্নভাবে দূষিত হয়। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস (ছত্রাক), কেমিক্যাল (রাসায়নিক পদার্থ), বিষাক্ত উপাদান। এ ছাড়া, শারীরিকভাবে প্রস্তুত করার সময়ও খাবার দূষিত হতে পারে। খাদ্য বিষাক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ ফরমালিন, ইউরিয়া ও ক্যালসিয়াম কারবাইড ব্যবহার।

প্রবন্ধে বলা হয়, ২০২০ সালে বাংলাদেশে কেবল ডায়রিয়ায় ৩৫ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল এবং ২০২২ সালে কলেরায় মারা গিয়েছিল ১ হাজার ৪০০ মানুষ।

উপস্থাপনায় খাবার সংরক্ষণের বিষয়ে খালেদা ইসলাম বলেন, ‘খাবার সংরক্ষণে আলাদা আলাদা তাক ব্যবহার করতে হবে। সঠিক উপায়ে রান্না করতে হবে। সঠিক তাপমাত্রা সংরক্ষণ এবং নিরাপদ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’

সেমিনারে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে খাদ্য পুষ্টিগুণ বজায় রাখা এবং উত্তম পারিবারিক অনুশীলন বজায় রাখতে হবে। সমাজের সুস্বাস্থ্য উন্নয়নে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ খাদ্য কেবলমাত্র রোগ প্রতিরোধেই সহায়ক নয়, এটি শরীরের সঠিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, খাদ্য আমাদের দেহের শক্তি ও পুষ্টির প্রধান উৎস। কিন্তু নিরাপদ খাদ্যের অভাবে কারণে নানা রোগব্যাধির ঝুঁকি রয়েছে। খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ পদ্ধতির প্রতিটি ধাপে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন। রাসায়নিক মুক্ত ও ভেজালমুক্ত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারি। সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। খাদ্যের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ, শর্করা, চর্বি ও ভিটামিন থাকতে হবে।

অপরদিকে দূষিত ভেজাল খাবার শরীরে নানা রোগের সৃষ্টি হতে পারে যেমন—ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া, ক্যানসার ইত্যাদি। নিরাপদ খাদ্য আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

এতে বলা হয়, বাজার থেকে খাদ্য কেনার সময় গুণগতমান ও মেয়াদ যাচাই করা, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সরকারি আইন ও নীতিমালা অনুসরণ করা, খাদ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রচারণা সচেতনতা বৃদ্ধি করা খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে খাদ্য মান নিয়ন্ত্রণ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজ এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আব্দুল খালেক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ ফয়সাল ইমাম এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস প্রমুখ।

বোচাগঞ্জে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

মোঃ শামসুল আলম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:১৪ অপরাহ্ণ
বোচাগঞ্জে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

“আমিষেই শক্তি, আমিষেই মুক্তি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে বৃহস্পতিবার খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ করেছে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর বোচাগঞ্জ।

সকাল ১১টায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর হতে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে গবাদী পশু ও পাখির খাদ্য, মেডিসিন, ভ্যাকসিন, গবাদী পশু ও পাখির ঘর নির্মাণ উপকরণ, প্রযুক্তি উপকরণ, চপার মেশিন, বিতরণের অংশ হিসেবে ৩০জন জন সুফল ভোগীর প্রত্যেককে ১টি ট্রোলী, ১টি বেলচা, ২পিছ ফ্লোরমেট ও ১পিছ ল্যাক্টো মিটার মেশিন দেয়া হয়েছে। সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ এর পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু কায়েস বিন আজিজ বলেন, আমরা খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য খামারীদের বিভিন্ন ধরণের উপকরণ প্রদান করছি।

খামারীরা এই উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে সুন্দর সাবলীল ভাবে খামার পরিচালনা করতে পারবেন। এতে গবাদী পশুর উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে যা জাতীয় অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখবে। আমরা আশা করব এই উপকরণ পেয়ে খামারীরা খামার করার প্রতি আরো বেশী উদ্বুদ্ধ হবে এবং প্রাণী সম্পদের সাথে আরও বেশী জরিত হবে। এসময় উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ নিহারঞ্জন প্রামানিক, উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান রিমন, সেতাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোঃ শামসুল আলম সহ এলাকার সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তাপাড়ের মানুষদের কথা শুনলেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:৩৯ অপরাহ্ণ
তিস্তাপাড়ের মানুষদের কথা শুনলেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা

তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক প্রস্তাবিত প্রকল্পের ওপর অংশীজনদের কথা শুনলেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা।

বুধবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় তিস্তাপাড়ের মানুষ, তিস্তা নদীরক্ষা আন্দোলনকারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাদের মতামত তুলে ধরেন।

এর আগে, শুরুতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রত্যাশী ‘পাওয়ার চায়না’র পক্ষে তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পের সামগ্রিক বিষয় পাওয়ার প্লান্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন প্রকল্পের সিনিয়র এক্সপার্ট মকবুল হোসেন।

এতে বলা হয়, পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে ১১০ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং, ২২৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ, মেরামত ও বাঁধের ওপরে রাস্তা নির্মাণ, ৬৭টি গ্রোয়েন নির্মাণ করার পাশাপাশি প্রায় ১৭১ বর্গকিলোমিটার ভূমি পুনরুদ্ধার করা হবে।

এছাড়াও প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুবিধা ভোগ করবে তিস্তাপাড়ের মানুষ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নদী গবেষক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, তিস্তা হচ্ছে সারা বাংলাদেশের মধ্যে ভিন্নতর নদী এই নদীতে আমরা মার্চ মাসে গিয়ে একটা গ্রাম দেখলাম এপ্রিল মাসে গিয়ে আমরা হয়ত সেই গ্রাম টা খুঁজে পাবো না পানিতে চলে গেছে। আবার এপ্রিল মাসে গিয়ে দেখবো সেখানে চড় জেগে উঠেছে নদী নিয়ে আরও বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। নদী পাড়ের মানুষদের জমির মালিকানা নিয়ে কথা বলেন এই নদী গবেষক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান, পাওয়ার চায়নার কান্ট্রি ম্যানেজার হান কুন,

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুস সাত্তার, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম- সূখ্য, সংগঠন আবু সাঈদ লিওন সহ অন্যান্যরা এসময় বক্তব্য দেন।

বোচাগঞ্জে ডায়াবেটিস ভালো হয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ফরিদ আহমেদ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:৩২ অপরাহ্ণ
বোচাগঞ্জে ডায়াবেটিস ভালো হয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ওয়েলনেস নিউট্রেশন লিমিটেড আয়োজিত ডায়াবেটিস ভালো হয় শীর্ষক দিন ব্যাপী সেমিনার দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ মার্চ বুধবার উক্ত সেমিনার উদ্বোধন করেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ মারুফ হাসান। এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও ওয়েলনেস নিউট্রেশন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুষ্টিবিদ মোঃ সোলায়মান হোসাইন স্বাস্থ্য সচেতনা মুলক বিভিন্ন বিষয়ে যেমন ডায়াবেটিস কি, কেন হয় এবং প্রতিকার কি তার বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য দেন। আরো বক্তব্য দেন ওয়েলনেস নিউট্রেশন লিমিটেড পরিচালক আরজিনা পারভিন রিটা, মোঃ আইয়ুব আলী, মোঃ রেজাউল হক প্রমুখ।
ক্যাপশনঃ বোচাগঞ্জে, ডায়াবেটিস ভালো হয় শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন ওয়েলনেস নিউট্রেশন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুষ্টিবিদ মোঃ সোলায়মান হোসাইন।