খুঁজুন
বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫, ১৮ আষাঢ়, ১৪৩২

পহেলা বৈশাখে পঞ্চগড় সীমান্তে এবারও হচ্ছে না দুই বাংলার মিলনমেলা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:২৪ অপরাহ্ণ
পহেলা বৈশাখে পঞ্চগড় সীমান্তে এবারও হচ্ছে না দুই বাংলার মিলনমেলা

বাংলা নববর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে দুই বাংলার মানুষ মিলিত হয় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে। বিশেষ করে পাসপোর্ট ও ভিসা করতে না পারা সাধারণ মানুষের এক আনন্দের নাম বাংলা নববর্ষ। সুখ-দুঃখের গল্পের সঙ্গে সামান্য উপহারে উপভোগ করেন দিন দু’টিকে। কিন্তু গেল কয়েক বছরের মতো এবারও সেই আনন্দের কাঁটাতারের মিলন মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না পঞ্চগড়সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অপেক্ষায় থাকা মানুষজন। তবে এ বছর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ (বিএসএফ) উভয় দেশের সরকারের নির্দেশনা না থাকায় গত ৬ বছরের মতো এবারও বসছে না দুই বাংলার এই ভিন্ন আয়োজনের মিলনমেলা।

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম। একইসঙ্গে ভিন্ন এই আয়োজন বন্ধ থাকায় সীমান্তের কাছে সর্বসাধারণের প্রবেশে নিরুৎসাহিত করেছেন এই কর্মকর্তা।
জানা গেছে, সাধারণত পহেলা ও দ্বিতীয় বৈশাখে পঞ্চগড়ের অমরখানা, শুকানি, মাগুরমারি সীমান্তসহ বিভিন্ন সীমান্তের কাঁটাতারের পাশে প্রায় ৫-৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দুই বাংলার এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হতো। এ সময় দু’দেশের হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে একে অন্যের সঙ্গে কথা ও ভাববিনিময় করতেন। তবে এবারও সেই অন্যরকম আনন্দ চোখে পড়বে না। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের অভিমুখে হাজার হাজার মানুষের ছুটে যাওয়ার সেই চিরচেনা দৃশ্যে এবারও দেখা যাবে না।

তবে বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালে পঞ্চগড় সীমান্তে দুই বাংলার কাঁটাতারের মিলনমেলা বন্ধ হলে আর এই মেলা বসেনি। বিগত কয়েক বছর ধরে বৈশাখের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন সীমান্তে কাঁটাতারের মাঝে মিলনমেলা না বসলেও সীমান্তের দূরে মানুষের অপেক্ষার আশা নিয়ে উপস্থিতি থাকতেও দেখা গেছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, সীমান্তের কাঁটাতারের মিলন মেলা নিয়ে আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। এবারও পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্তে বসছে না দুই বাংলার মিলনমেলা।

এ বিষয়ে পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলা নববর্ষ একটা ঐতিহ্য। বিগত দিনে দেখা গেছে নববর্ষকে কেন্দ্র করে অনেকেই পঞ্চগড় সীমান্তের কাছে ছুটে যান ভারতের অভ্যন্তরে থাকা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে। তবে বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালে পঞ্চগড় সীমান্তে দুই বাংলার কাঁটাতারের মিলনমেলা বন্ধ হয়ে যায়; যা এখনও বন্ধ রয়েছে। তার মাঝেও সাধারণ অনেক মানুষ বিষয়টি না জেনে উৎসাহ নিয়ে সীমান্তের কাছে ছুটে আসেন।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আমরা তাদের নিরুৎসাহিত করছি। কারণ এবারও বসছে না এ মিলনমেলা। সীমান্ত নিরাপত্তায় বিজিবি তৎপর রয়েছে। অতএব আশা করি সাধারণ মানুষ নববর্ষকে কেন্দ্র করে সীমান্তে ছুটে যাবেন না। একই সঙ্গে সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করবেন না।

বোচাগঞ্জে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসের অভিযান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৬:০০ অপরাহ্ণ
বোচাগঞ্জে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসের অভিযান

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌরসভার স্বপ্না নার্সারি ও বোচাগঞ্জ নার্সারিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন বোচাগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল হুদা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা।

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা উৎপাদন, রোপণ ও বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, “বোচাগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে মোট ৩৩টি নার্সারি রয়েছে, যার মধ্যে ২২টি নার্সারি সরকারিভাবে নিবন্ধিত। এই নিবন্ধিত নার্সারিগুলোকে প্রতিটি গাছের জন্য ৪ টাকা হারে প্রণোদনা প্রদান করা হবে।”

সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল হুদা বলেন, “খোলা বাজারে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “নিবন্ধনবিহীন কোনো নার্সারিকে প্রণোদনা দেওয়া হবে না। বরং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এসব উদ্ভিদ অপসারণে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও জোরদার করা হবে।”

দিনাজপুর বোর্ডে ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় বহিষ্কার ৬, অনুপস্থিত ১৭৫৭

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৫:১৭ অপরাহ্ণ
দিনাজপুর বোর্ডে ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় বহিষ্কার ৬, অনুপস্থিত ১৭৫৭

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি (আবশ্যিক) ১ম পত্র পরীক্ষায় ছয় পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া এ দিন ১ হাজার ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী জানান, এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় এক লাখ ২ হাজার ৮৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ১ হাজার ১৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এ পরীক্ষায় গাইবান্ধায় দুই জন ঠাকুরগাঁওয়ে চার জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষায় ১ হাজার ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
দিনাজপুর বোর্ডের অধীন আট জেলার অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে – রংপুরে ২৫৬ জন, গাইবান্ধায় ২৩৭, নীলফামারীতে ১৮৯, কুড়িগ্রামে ২৯৮, লালমনিরহাটে ১৪৭, দিনাজপুরে ৩৩৯, ঠাকুরগাঁয়ে ১৫০ ও পঞ্চগড় জেলায় ১৪১ জন।
এছাড়া সব কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় একটি সুপরিকল্পিত ও সফল বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে কলেজ চত্বরে ফলজ, বনজ এবং ঔষধি—এই তিন শ্রেণির নানা প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মো. আবু তাহের সিদ্দিকী—জামায়াতে ইসলামীর দিনাজপুর জেলা ইউনিট সদস্য এবং সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. মাহবুব আলম—জামায়াতে ইসলামীর বোচাগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারি।

অনুষ্ঠানে আরও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুবোধ চন্দ্র রায়—অধ্যাপক, রসায়ন বিভাগ, সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজ এবং জামায়াতে ইসলামী বোচাগঞ্জ উপজেলার যুব বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ।

উপজেলা শিবির সভাপতি আব্দুল মোহাইমিনুল-এর সক্রিয় উপস্থিতি ও তত্ত্বাবধানে পুরো কর্মসূচিটি সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়। তিনি বলেন,
“প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা এবং আগামী প্রজন্মকে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ।”

পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছাত্রদের মাঝে এ কর্মসূচি ব্যাপক উৎসাহ তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক ও অংশগ্রহণকারী ছাত্ররা।