খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

প্রোটিয়াদের বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
প্রোটিয়াদের বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ শক্তিশালী। ফর্মেও আছেন তারা। সঙ্গে লাহোর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ব্যাটিং বান্ধব উইকেট। দুই মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রান উৎসবের মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। ওই মঞ্চে ব্ল্যাক ক্যাপসরা উৎসব করেছে ঠিকই। পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫০ রানের হারে বিদায় নিয়েছে তারা। নিউজিল্যান্ড উঠে গেছে ফাইনালে।

আগামী ৯ মার্চ দুবাইয়ে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড।

বুধবার লাহোরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। শুরুটা হয় স্বপ্নের মতো। দলের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন গড়লেন অসাধারণ এক পার্টনারশিপ।

রবীন্দ্র ১০১ বলে ১০৮ রান করেন, হাঁকান ১৩টি চার ও ১টি ছয়। এই টুর্নামেন্টে এটি তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, আর ওয়ানডে ক্যারিয়ারে পঞ্চম। বিশেষ ব্যাপার হলো, রবীন্দ্র এখন পর্যন্ত তাঁর সব ওয়ানডে সেঞ্চুরিই করেছেন আইসিসি টুর্নামেন্টে! মাত্র ১৩ ইনিংসে ৫টি সেঞ্চুরি করে তিনি ভারতের শিখর ধাওয়ানের দ্রুততম পাঁচ সেঞ্চুরির রেকর্ডও (১৫ ইনিংস) ভেঙেছেন।

অন্যদিকে উইলিয়ামসনও দেখিয়েছেন তাঁর অভিজ্ঞতার ছাপ। ৯৪ বলে ১০২ রান করে তিনিও তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটি তাঁর টানা তৃতীয় শতক। তাঁদের ১৬৪ রানের জুটিই ছিল নিউজিল্যান্ডের বড় সংগ্রহের ভিত।

দুই সেঞ্চুরির ওপর ভর করে নিউজিল্যান্ড তোলে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৬২ রান। এটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। শেষ ১০ ওভারে ড্যারিল মিচেল (৩৭ বলে ৪৯) ও গ্লেন ফিলিপস (২৭ বলে অপরাজিত ৪৯) মিলে প্রোটিয়া বোলারদের তুলোধোনা করেন, দলকে নিয়ে যান বিশাল পুঁজি গড়ার পথে।

সেমিফাইনালে জিততে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে গড়তে হতো রেকর্ড রান তাড়া করার ইতিহাস। কিন্তু তাদের শুরুটা ছিল বেশ নড়বড়ে।

প্রোটিয়াদের হয়ে রসি ফন ডুসেন (৬৯) ও টেম্বা বাভুমা (৫৬) হাল ধরার চেষ্টা করলেও জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। শেষ দিকে ডেভিড মিলার ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করে হারের দূরত্ব কমিয়ে আনেন।

নিউজিল্যান্ডের বোলাররা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিলে ম্যাচ ধীরে ধীরে কিউইদের দিকেই ঝুঁকে পড়ে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১২ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা, হেরে যায় ৫০ রানে।

নিউজিল্যান্ডের এই জয়ে আবারও প্রমাণ হলো, আইসিসির বড় মঞ্চে তারা অন্যতম সেরা দল। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত, যারা ইতোমধ্যে দুর্দান্ত ফর্মে আছে। ৯ মার্চ দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে দেখা হবে ক্রিকেট বিশ্বের দুই পরাশক্তির!

লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি

আজকের বোচাগঞ্জ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:৪৮ অপরাহ্ণ
লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি

oppo_0

দিনাজপুর জেলায় আম ও লিচু বাগানের সংখা অনেক। প্রতিটি বাগানের নিচের অংশে হাজার হাজার একর জমি ফাকা পড়ে থাকে। সেই পতিত(বাগানের নিচে)র জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষ শুরু করেছেন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার নেহালগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক হুমায়ুন কবির জনি। প্রথমবার মিষ্টি কুমড়া চাষ করে তিনি পেয়েছেন সফলতা। মিষ্টি কুমড়া চাষ করে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছেন তিনি। তার সফলতা দেখে আম/লিচু বাগানে কুমড়া চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষক। আম/লিচু বাগানে কুমড়া চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। জানা গেছে, হুমায়ুন কবির জনি দিনাজপুর থেকে ১ হাজার দুইশতটি বীজ কিনে এনে বাসায় চারা তৈরি করেন এবং এক একর জমির লিচু বাগানে সেই চারা রোপণ করেন। গত জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন জাতের মিষ্টি কুমড়ার চারা রোপণ করে প্রতিটি কুমড়া গাছে ১০টির বেশি কুমড়ার অংকুর হলেও তিনি ৫ থেকে ৬টি কুমড়া সংগ্রহ করছেন। লিচু বাগানে হুমায়ুন কবির জনির মিষ্টি কুমড়া আবাদ দেখতে আসা কৃষক আঃ রহিম বলেন, ‘আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে আজ লিচুর বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি দেখতে এসেছি। দেখে খুব ভালো লাগল। আমিও আগামী বছর আমার আম বাগনে মিষ্টি কুমড়া চাষ করব।’ কৃষি উদ্যোক্তা হুমায়ুন কবির জনি বলেন, ‘আমি লিচু বাগানে তিন জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। এই কুমড়া আবাদ করতে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশা করি, এই মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মতো আয় হবে।’ লিচু বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষের এই পদ্ধতি কোথায় থেকে পেয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এই পদ্ধতি নিজে চিন্তা করে প্রয়োগ করেছি। কারণ লিচু বাগানের নিচের পতিত জমিটি সাধারণত পড়ে থাকে। তাই আমি প্রথমবার সেই পতিত জমিতে কুমড়া চাষ করেছি এবং সফলতা পেয়েছি।’ বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার শাহা বলেন, ‘বোচাগঞ্জ উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নে হুমায়ুন কবির জনি নামের এক কৃষক এক একর জমিতে প্রথমবারের মতো লিচু বাগানে কুমড়া আবাদ করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা তাকে কারিগরি পরামর্শ প্রদানসহ বিভিন্ন সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে এবং কৃষক লাভবান হবেন। আমি হুমায়ুন কবির জনির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

বোচাগঞ্জে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

মোঃ শামসুল আলম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:১৪ অপরাহ্ণ
বোচাগঞ্জে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

“আমিষেই শক্তি, আমিষেই মুক্তি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে বৃহস্পতিবার খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ করেছে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর বোচাগঞ্জ।

সকাল ১১টায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর হতে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে গবাদী পশু ও পাখির খাদ্য, মেডিসিন, ভ্যাকসিন, গবাদী পশু ও পাখির ঘর নির্মাণ উপকরণ, প্রযুক্তি উপকরণ, চপার মেশিন, বিতরণের অংশ হিসেবে ৩০জন জন সুফল ভোগীর প্রত্যেককে ১টি ট্রোলী, ১টি বেলচা, ২পিছ ফ্লোরমেট ও ১পিছ ল্যাক্টো মিটার মেশিন দেয়া হয়েছে। সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ এর পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু কায়েস বিন আজিজ বলেন, আমরা খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য খামারীদের বিভিন্ন ধরণের উপকরণ প্রদান করছি।

খামারীরা এই উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে সুন্দর সাবলীল ভাবে খামার পরিচালনা করতে পারবেন। এতে গবাদী পশুর উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে যা জাতীয় অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখবে। আমরা আশা করব এই উপকরণ পেয়ে খামারীরা খামার করার প্রতি আরো বেশী উদ্বুদ্ধ হবে এবং প্রাণী সম্পদের সাথে আরও বেশী জরিত হবে। এসময় উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ নিহারঞ্জন প্রামানিক, উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান রিমন, সেতাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোঃ শামসুল আলম সহ এলাকার সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তাপাড়ের মানুষদের কথা শুনলেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:৩৯ অপরাহ্ণ
তিস্তাপাড়ের মানুষদের কথা শুনলেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা

তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক প্রস্তাবিত প্রকল্পের ওপর অংশীজনদের কথা শুনলেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা।

বুধবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় তিস্তাপাড়ের মানুষ, তিস্তা নদীরক্ষা আন্দোলনকারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাদের মতামত তুলে ধরেন।

এর আগে, শুরুতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রত্যাশী ‘পাওয়ার চায়না’র পক্ষে তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পের সামগ্রিক বিষয় পাওয়ার প্লান্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন প্রকল্পের সিনিয়র এক্সপার্ট মকবুল হোসেন।

এতে বলা হয়, পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে ১১০ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং, ২২৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ, মেরামত ও বাঁধের ওপরে রাস্তা নির্মাণ, ৬৭টি গ্রোয়েন নির্মাণ করার পাশাপাশি প্রায় ১৭১ বর্গকিলোমিটার ভূমি পুনরুদ্ধার করা হবে।

এছাড়াও প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুবিধা ভোগ করবে তিস্তাপাড়ের মানুষ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নদী গবেষক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, তিস্তা হচ্ছে সারা বাংলাদেশের মধ্যে ভিন্নতর নদী এই নদীতে আমরা মার্চ মাসে গিয়ে একটা গ্রাম দেখলাম এপ্রিল মাসে গিয়ে আমরা হয়ত সেই গ্রাম টা খুঁজে পাবো না পানিতে চলে গেছে। আবার এপ্রিল মাসে গিয়ে দেখবো সেখানে চড় জেগে উঠেছে নদী নিয়ে আরও বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। নদী পাড়ের মানুষদের জমির মালিকানা নিয়ে কথা বলেন এই নদী গবেষক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান, পাওয়ার চায়নার কান্ট্রি ম্যানেজার হান কুন,

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুস সাত্তার, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম- সূখ্য, সংগঠন আবু সাঈদ লিওন সহ অন্যান্যরা এসময় বক্তব্য দেন।