বোচাগঞ্জে জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট

আর মাত্র কয়েক দিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ সময়ে দিনাজপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পশুর হাটে প্রচুর গবাদিপশু উঠেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে যেন তিল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা নেই। হাটে মাঝারি পশুর চাহিদাই বেশি। একই চিত্র জেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী ৬৮টি গরুর হাটে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর কোরবানির জন্য দিনাজপুর জেলায় পশুর চাহিদা দুই লাখ ৬৯ হাজার ৮৬৫টি হলেও প্রস্তুত রয়েছে চার লাখ ৫ হাজার ৯৯১টি পশু। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯টি গরু, ৫৭৭টি মহিষ, ২ লাখ ২০ হাজার ৭৮৬টি ছাগল এবং ২০ হাজার ৫৪৯টি ভেড়া রয়েছে জেলায়।
গরু কিনতে আসা আনিস ইসলাম বলেন, বাজারে অনেক গরু দেখার পর ৮০ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি কিনলাম। এই গরুটির দাম ও আমার চাহিদা মতো হয়েছে।
মোঃআনিছুর নামে একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে বাপ বেটা গরু কিনতে এসেছি।অনেক গরু দেখলাম । পছন্দ ও দামের সাথে মিলে গেলে গরু কিনবো।
সেতাবগঞ্জ হাটের গরু ব্যবসায়ী দবিরুল হোসেন বলেন, আমি বড়-ছোট মিলিয়ে ১২ টির বেশি গরু এনেছেন এবং ইতোমধ্যে তিনটি গরু বিক্রি হয়ে গেছে।
গরু ব্সায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ক্রেতাদের বেশি চাহিদা মাঝারি গরু। এ হাটে ৭০-৯০ হাজার টাকার মধ্যে গরু কেনাবেচা হচ্ছে।
সেতাবগঞ্জ গরু হাটের ইজারাদার মোঃ জাকিউর রহমান জাকির বলেন, শেষ মুহূর্তে সেতাবগঞ্জ গরুর হাটে প্রচুর গরু ও ছাগল উঠেছে। গরু, মহিষ ও ছাগল বিক্রেতাদের জন্য রয়েছে নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা। আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছে হাট পরিচালনা কমিটি। এর মধ্যে নকল বা জাল টাকা সনাক্তের বুথ, গরুর ব্যাপারীদের নিরাপদে রাত্রী যাপন, ক্রেতাদের স্বাচ্ছন্দে পছন্দের পশুক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রহিম বলেন, এ বারের ঈদে চাহিদার চেয়ে গবাদিপশু বেশি প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৮৬৫টি। আর প্রস্তুত করা হয়েছে চার লাখ ৫ হাজার ৯৯১টি পশু। যা চাহিদার তুলনা এক লাখ ৩৬ হাজার ১২৬টি বেশি।
তিনি আরও বলেন, জেলায় ৬৮টি স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। হাটবাজারগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৩৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এবার জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে ১ লাখ ৩৬ হাজার ১২৬টি পশু।
আপনার মতামত লিখুন