খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

৮ বাংলাদেশিকে আটকের পর ফেরত দিলো বিএসএফ

জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড়
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:১১ অপরাহ্ণ
৮ বাংলাদেশিকে আটকের পর ফেরত দিলো বিএসএফ

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত কবির বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় দুটি মামলা হয়েছে। আজ সকালে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। এর আগে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে পঞ্চগড় ব্যাটালিয়নের ১৮ বিজিবি পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়। এ ঘটনায় বিজিবির কাছে হস্তান্তরকৃতদের তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তরের পর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। হস্তান্তরকৃতরা হলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের পাঠান সিং বর্মনের ছেলে হরেন বর্মন (৪০), তার স্ত্রী মমতা রানী (৩৫), ছেলে অজয় কুমার বর্মন (২১), নব বর্মন (১৭), আখা নগর ইউনিয়নের কুলেশ চন্দ্র বর্মনের ছেলে রিপন বর্মন (১৭), দেবগঞ্জ এলাকার আন্বেশ্বর রায়ের ছেলে শুশান্ত রায় (২২) এবং গড়েয়া এলাকার ইয়ধিশথির রায়ের ছেলে আশিস রায় (১৮)। এছাড়া সীমান্ত প্রবাহিত মহানন্দা নদীতে পাথর উত্তোলনের সময় ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করায় রবিউ ইসলাম (৪৫) নামের এক পাথর শ্রমিককে আটকের পর ফেরত দেয় বিএসএফ। রবিউল তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের লোহাকাচি এলাকার গিয়াস উদ্দীনের ছেলে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, পঞ্চগড় ব্যাটালিয়ন ১৮ বিজিবির অধীনস্থ তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের কাশিমগঞ্জ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তের মেইন পিলার ৭৩০ এর ৬ সাব পিলার এলাকা দিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়াবিহীন এলাকা দিয়ে গত মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৭ জন বাংলাদেশি ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে। ওই সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ১৮ ব্যাটালিয়নের বানেশ্বরজোত বিওপির বিএসএফের টহলদল তাদের আটকের পর বিজিবিকে জানায়। পরে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় সীমান্তের মেইন পিলার ৭৩০ এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া শেষে অনুপ্রবেশকারী সাত বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। এদিকে ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ তেঁতুলিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্তের মেইন পিলার ৪৪৩ এর ১৩ সাব পিলার থেকে আনুমানিক ১৫০ গজ ভারতের ভেতরে অবৈধভাবে বাংলাদেশি পাথর শ্রমিক পাথর-বালু উত্তোলন করছিলেন। ওই সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসফের ১৮ ব্যাটালিয়নের বিবেকানন্দ ক্যাম্পের টহল দল তাকে আটক করে। পরে বিষয়টি তেঁতুলিয়া বিওপির জানতে পেরে বিএসএফ বানেশ্বরজোত বিওপির সঙ্গে যোগাযোগ করে। বুধবার বিকেল ৩টায় পতাকা বৈঠকের পরে বাংলাদেশি পাথর শ্রমিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দালালের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী ভারতে অনুপ্রবেশ করলে বিএসএফের হাতে আটক হয়। পরে আমরা তাদের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনি। এদিকে এক পাথর শ্রমিক সীমান্ত অতিক্রম করায় তাকেও আটক করলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকেও ফেরত দেয় বিএসএফ। সীমান্তে বিজিবির টহল সব সময় জোরদার রয়েছে।

লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি

আজকের বোচাগঞ্জ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:৪৮ অপরাহ্ণ
লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি

oppo_0

দিনাজপুর জেলায় আম ও লিচু বাগানের সংখা অনেক। প্রতিটি বাগানের নিচের অংশে হাজার হাজার একর জমি ফাকা পড়ে থাকে। সেই পতিত(বাগানের নিচে)র জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষ শুরু করেছেন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার নেহালগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক হুমায়ুন কবির জনি। প্রথমবার মিষ্টি কুমড়া চাষ করে তিনি পেয়েছেন সফলতা। মিষ্টি কুমড়া চাষ করে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছেন তিনি। তার সফলতা দেখে আম/লিচু বাগানে কুমড়া চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষক। আম/লিচু বাগানে কুমড়া চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। জানা গেছে, হুমায়ুন কবির জনি দিনাজপুর থেকে ১ হাজার দুইশতটি বীজ কিনে এনে বাসায় চারা তৈরি করেন এবং এক একর জমির লিচু বাগানে সেই চারা রোপণ করেন। গত জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন জাতের মিষ্টি কুমড়ার চারা রোপণ করে প্রতিটি কুমড়া গাছে ১০টির বেশি কুমড়ার অংকুর হলেও তিনি ৫ থেকে ৬টি কুমড়া সংগ্রহ করছেন। লিচু বাগানে হুমায়ুন কবির জনির মিষ্টি কুমড়া আবাদ দেখতে আসা কৃষক আঃ রহিম বলেন, ‘আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে আজ লিচুর বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি দেখতে এসেছি। দেখে খুব ভালো লাগল। আমিও আগামী বছর আমার আম বাগনে মিষ্টি কুমড়া চাষ করব।’ কৃষি উদ্যোক্তা হুমায়ুন কবির জনি বলেন, ‘আমি লিচু বাগানে তিন জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। এই কুমড়া আবাদ করতে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশা করি, এই মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মতো আয় হবে।’ লিচু বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষের এই পদ্ধতি কোথায় থেকে পেয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এই পদ্ধতি নিজে চিন্তা করে প্রয়োগ করেছি। কারণ লিচু বাগানের নিচের পতিত জমিটি সাধারণত পড়ে থাকে। তাই আমি প্রথমবার সেই পতিত জমিতে কুমড়া চাষ করেছি এবং সফলতা পেয়েছি।’ বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার শাহা বলেন, ‘বোচাগঞ্জ উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নে হুমায়ুন কবির জনি নামের এক কৃষক এক একর জমিতে প্রথমবারের মতো লিচু বাগানে কুমড়া আবাদ করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা তাকে কারিগরি পরামর্শ প্রদানসহ বিভিন্ন সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে এবং কৃষক লাভবান হবেন। আমি হুমায়ুন কবির জনির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

বোচাগঞ্জে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

মোঃ শামসুল আলম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:১৪ অপরাহ্ণ
বোচাগঞ্জে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

“আমিষেই শক্তি, আমিষেই মুক্তি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে বৃহস্পতিবার খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ করেছে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর বোচাগঞ্জ।

সকাল ১১টায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর হতে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে গবাদী পশু ও পাখির খাদ্য, মেডিসিন, ভ্যাকসিন, গবাদী পশু ও পাখির ঘর নির্মাণ উপকরণ, প্রযুক্তি উপকরণ, চপার মেশিন, বিতরণের অংশ হিসেবে ৩০জন জন সুফল ভোগীর প্রত্যেককে ১টি ট্রোলী, ১টি বেলচা, ২পিছ ফ্লোরমেট ও ১পিছ ল্যাক্টো মিটার মেশিন দেয়া হয়েছে। সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ এর পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু কায়েস বিন আজিজ বলেন, আমরা খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য খামারীদের বিভিন্ন ধরণের উপকরণ প্রদান করছি।

খামারীরা এই উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে সুন্দর সাবলীল ভাবে খামার পরিচালনা করতে পারবেন। এতে গবাদী পশুর উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে যা জাতীয় অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখবে। আমরা আশা করব এই উপকরণ পেয়ে খামারীরা খামার করার প্রতি আরো বেশী উদ্বুদ্ধ হবে এবং প্রাণী সম্পদের সাথে আরও বেশী জরিত হবে। এসময় উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ নিহারঞ্জন প্রামানিক, উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান রিমন, সেতাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোঃ শামসুল আলম সহ এলাকার সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তাপাড়ের মানুষদের কথা শুনলেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:৩৯ অপরাহ্ণ
তিস্তাপাড়ের মানুষদের কথা শুনলেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা

তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক প্রস্তাবিত প্রকল্পের ওপর অংশীজনদের কথা শুনলেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা।

বুধবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় তিস্তাপাড়ের মানুষ, তিস্তা নদীরক্ষা আন্দোলনকারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাদের মতামত তুলে ধরেন।

এর আগে, শুরুতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রত্যাশী ‘পাওয়ার চায়না’র পক্ষে তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পের সামগ্রিক বিষয় পাওয়ার প্লান্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন প্রকল্পের সিনিয়র এক্সপার্ট মকবুল হোসেন।

এতে বলা হয়, পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে ১১০ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং, ২২৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ, মেরামত ও বাঁধের ওপরে রাস্তা নির্মাণ, ৬৭টি গ্রোয়েন নির্মাণ করার পাশাপাশি প্রায় ১৭১ বর্গকিলোমিটার ভূমি পুনরুদ্ধার করা হবে।

এছাড়াও প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুবিধা ভোগ করবে তিস্তাপাড়ের মানুষ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নদী গবেষক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, তিস্তা হচ্ছে সারা বাংলাদেশের মধ্যে ভিন্নতর নদী এই নদীতে আমরা মার্চ মাসে গিয়ে একটা গ্রাম দেখলাম এপ্রিল মাসে গিয়ে আমরা হয়ত সেই গ্রাম টা খুঁজে পাবো না পানিতে চলে গেছে। আবার এপ্রিল মাসে গিয়ে দেখবো সেখানে চড় জেগে উঠেছে নদী নিয়ে আরও বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। নদী পাড়ের মানুষদের জমির মালিকানা নিয়ে কথা বলেন এই নদী গবেষক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান, পাওয়ার চায়নার কান্ট্রি ম্যানেজার হান কুন,

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুস সাত্তার, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম- সূখ্য, সংগঠন আবু সাঈদ লিওন সহ অন্যান্যরা এসময় বক্তব্য দেন।