খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তাব

রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যাংক লাইসেন্স দেওয়া উচিত নয়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যাংক লাইসেন্স দেওয়া উচিত নয়

ব্যাংকিং খাত থেকে রাজনৈতিক প্রভাব অপসারণ জরুরি। একটি শক্তিশালী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী কয়েক দশক ধরে এই খাতকে দুর্বল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এটি ভেঙে ফেলা দরকার।

সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্র্নিধারণ টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। সেখানে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ কথা বলেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক সংশোধনী বিল ২০০৩ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংককে সমন্বিতভাবে কাজ করার অনুমতি দিতে হবে। কোনো একক ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের একটি গোষ্ঠীকে একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিকানা পাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। রাজনৈতিক কারণে নতুন কোনো ব্যাংক লাইসেন্স দেওয়া উচিত নয়। দুর্বল শাসিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে পুনঃপুঁজিতে পাবলিক ফান্ডের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আমানতকারীর স্বার্থ রক্ষার জন্য সমস্যাগ্রস্ত ব্যাঙ্কগুলির জন্য একটি প্রস্থান নীতি প্রণয়ন করা উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে টাস্কফোর্সের সুপারিশমালা থেকে অন্তত একটি সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরবর্তী উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে কোন সুপারিশটি বাস্তবায়ন করা হবে, তা জানাতে হবে।

টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন টাস্কফোর্সের প্রধান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ। এই টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে অর্থনীতি, ব্যাংক,অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণ করে সুপারিশ করা হয়।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, বিগত সরকারের আমলে ব্যাংক কোম্পানি আইন দুর্বল হয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকে পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন নতুন ব্যাংকগুলোকে পরিবারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে আর্থিক খাতকে ধ্বংস করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকারি সেবা নিশ্চিত করা এবং সংস্কারের অংশ হিসেবে পাঁচ নতুন প্রতিষ্ঠান করার সুপারিশ করা হয় টাস্কফোর্স প্রতিবেদনে। যেমন, নিয়ন্ত্রক সংস্কারর সংস্কার কমিশন বা রেগুলেটির রিফর্ম কমিশন (আরআরসি) গঠন করা উচিত। আইনকানুন পরিবর্তন, সংশোধনে এই কমিশন সবসবই কাজ করবে। এছাড়া বাংলাদেশ বিমানকে দুই ভাগে বিভক্ত করে একটি অংশ বিদেশি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান নিয়ে পরিচালনা করার সুপারিশ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যক্রম তদারকির জন্য আলাদা কমিটি করার কথাও বলা হয়েছে। সেন্টার অব গ্লোবাল এক্সিসিলেন্স এবং সেন্টার সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিওরাল চেঞ্জ কমিউনিকেশন অ্যান্ড রিসার্চ গঠনের সুপারিশও করা হয়েছে।

পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ভূমি নিবন্ধন কার্যালয়, পুলিশ, স্বাস্থ্যসহ যেকোনো সরকারি সেবা পাওয়া কঠিন। এ জন্য নাগরিকদের তদারকির মাধ্যমে সামাজিক নিরীক্ষার মধ্যে এসব সেবাকে আনা যেতে পারে।

কে এ এস মুরশিদ বলেন , যুগ যুগ ধরে চাঁদাবাজির কথা শুনছি। কিন্তু কিছু করতে পরিনি। আমরা মনে করি, স্থানীয় জনগণের সহায়তায় অ্যান্টি গুন স্কোয়াড (গুন্ডা প্রতিরোধ কমিটি ) বেশ কার্যকর হবে।

ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার সুপারিশ প্রসঙ্গে কে এ এস মুরশিদ বলেন, রাজনীতির প্রভাব ছাত্রদের মধ্যে বিস্তার লাভ করে, শিক্ষকেরা জড়িয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত তা আর্থিক দুর্নীতিতে গড়ায়। দলীয় রাজনীতি কেন থাকবে? কোনো সভ্য দেশে আছে। ছাত্র–ছাত্রীরা সক্রিয় থাকেন সামাজিক ও শিক্ষা খাতের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। ছাত্র রাজনীতির বন্ধের বিষয়টি সরকার পুনর্বিবেচনা করতে পারে। এখন তো বলা যায়। আগে তো এটাও বলা যেত না।

সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন টাস্কফোর্সের আরেক সদস্য অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, বিনিয়োগের বাধাগুলো দূর করতে পারলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। আগের সরকার এক’শ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কথা বলেছে, তা সবগুলো না করে নির্বাচিত কিছু অর্থনৈতিক অঞ্চল করা যেতে পারে।

ব্যাংক দেউলিয়া আইন করার সুপারিশ করেছেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের এমডি সৈয়দ নাসির মঞ্জুর। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার আগে স্থানীয় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন— বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর আহমেদ, বিডি জবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর প্রমুখ। গত ১১ সেপ্টেম্বর বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্র্নিধারণ টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালককে এ এস মুরশিদের নেতৃত্বে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।

মুক্তিপণের ২৫ লাখ দেওয়ার পরও খোঁজ নেই মিলনের, মানবন্ধন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৪৯ অপরাহ্ণ
মুক্তিপণের ২৫ লাখ দেওয়ার পরও খোঁজ নেই মিলনের, মানবন্ধন

মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা দিয়েও মিলনকে ফিরে পাননি তার বাবা। প্রায় ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও ছেলেকে ফিরে না পেয়ে ভেঙে পড়েছে পরিবারটি। মিলন হোসেন (২৩) পীরগঞ্জ উপজেলার ৩ নং খনগাঁও ইউনিয়নের চাপাপাড়া এলাকার বাসিন্দা পানজাব আলীর ছেলে। তিনি দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র। অপহৃত হওয়া ওই কলেজ শিক্ষার্থীকে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে এবং অপহরণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁওবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধনে অংশ নেন মিলনের পরিবারসহ এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা। মানববন্ধনটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তার কাছে এসে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিলনের মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে অপহরণ করে তারা কোথায় রেখেছে, জানি না; কেমন আছে, জানি না। অপহরণকারীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল, আমরা গরিব খেটে খাওয়া পরিবার সবকিছু বিসর্জন দিয়ে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েছি। মুক্তিপণের দাবি পূরণ করার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও তারা আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়নি।’

তিনি দ্রুত মায়ের কোলে ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার এবং অপহরণকারীদের আটক করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক কলেজের পেছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মিলন। ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে অপহরণকারীরা ভুক্তভোগী পরিবারকে মোবাইলফোনে অপহরণের বিষয়টি জানায়। প্রথমে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা চায় তারা। পরদিন দুপুরে ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় মিলনের পরিবার। তবে পরবর্তীতে চক্রটি ৫ লাখ টাকা দাবি করে, এরপর মুক্তিপণ বেড়ে ১০ লাখ হয়। তিনদিন পর ১৫ লাখ টাকা দাবি করে তারা। সবশেষ ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

৯ মার্চ রাতে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকাগামী ১০টার ট্রেনে উঠতে বলে অপহরণকারীরা। এরপর পীরগঞ্জের সেনুয়া এলাকায় চলন্ত ট্রেন থেকে ২৫ লাখ টাকার ব্যাগটি বাইরে ফেলে দিতে বলে তারা। মিলনের জন্য দুই সেট পোশাকসহ ২৫ লাখ টাকা ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ১০ মিনিট পর অপহরণকারী চক্রটি টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরদিন তারা জানায়, দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে অপহৃত মিলন পাওয়া যাবে। কিন্তু স্টেশনে গিয়ে মিলনকে পাওয়া যায়নি।

লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি

আজকের বোচাগঞ্জ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:৪৮ অপরাহ্ণ
লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি

oppo_0

দিনাজপুর জেলায় আম ও লিচু বাগানের সংখা অনেক। প্রতিটি বাগানের নিচের অংশে হাজার হাজার একর জমি ফাকা পড়ে থাকে। সেই পতিত(বাগানের নিচে)র জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষ শুরু করেছেন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার নেহালগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক হুমায়ুন কবির জনি। প্রথমবার মিষ্টি কুমড়া চাষ করে তিনি পেয়েছেন সফলতা। মিষ্টি কুমড়া চাষ করে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছেন তিনি। তার সফলতা দেখে আম/লিচু বাগানে কুমড়া চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষক। আম/লিচু বাগানে কুমড়া চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। জানা গেছে, হুমায়ুন কবির জনি দিনাজপুর থেকে ১ হাজার দুইশতটি বীজ কিনে এনে বাসায় চারা তৈরি করেন এবং এক একর জমির লিচু বাগানে সেই চারা রোপণ করেন। গত জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন জাতের মিষ্টি কুমড়ার চারা রোপণ করে প্রতিটি কুমড়া গাছে ১০টির বেশি কুমড়ার অংকুর হলেও তিনি ৫ থেকে ৬টি কুমড়া সংগ্রহ করছেন। লিচু বাগানে হুমায়ুন কবির জনির মিষ্টি কুমড়া আবাদ দেখতে আসা কৃষক আঃ রহিম বলেন, ‘আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে আজ লিচুর বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি দেখতে এসেছি। দেখে খুব ভালো লাগল। আমিও আগামী বছর আমার আম বাগনে মিষ্টি কুমড়া চাষ করব।’ কৃষি উদ্যোক্তা হুমায়ুন কবির জনি বলেন, ‘আমি লিচু বাগানে তিন জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। এই কুমড়া আবাদ করতে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশা করি, এই মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মতো আয় হবে।’ লিচু বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষের এই পদ্ধতি কোথায় থেকে পেয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এই পদ্ধতি নিজে চিন্তা করে প্রয়োগ করেছি। কারণ লিচু বাগানের নিচের পতিত জমিটি সাধারণত পড়ে থাকে। তাই আমি প্রথমবার সেই পতিত জমিতে কুমড়া চাষ করেছি এবং সফলতা পেয়েছি।’ বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার শাহা বলেন, ‘বোচাগঞ্জ উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নে হুমায়ুন কবির জনি নামের এক কৃষক এক একর জমিতে প্রথমবারের মতো লিচু বাগানে কুমড়া আবাদ করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা তাকে কারিগরি পরামর্শ প্রদানসহ বিভিন্ন সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে এবং কৃষক লাভবান হবেন। আমি হুমায়ুন কবির জনির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

বোচাগঞ্জে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

মোঃ শামসুল আলম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:১৪ অপরাহ্ণ
বোচাগঞ্জে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

“আমিষেই শক্তি, আমিষেই মুক্তি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে বৃহস্পতিবার খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ করেছে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর বোচাগঞ্জ।

সকাল ১১টায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর হতে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে গবাদী পশু ও পাখির খাদ্য, মেডিসিন, ভ্যাকসিন, গবাদী পশু ও পাখির ঘর নির্মাণ উপকরণ, প্রযুক্তি উপকরণ, চপার মেশিন, বিতরণের অংশ হিসেবে ৩০জন জন সুফল ভোগীর প্রত্যেককে ১টি ট্রোলী, ১টি বেলচা, ২পিছ ফ্লোরমেট ও ১পিছ ল্যাক্টো মিটার মেশিন দেয়া হয়েছে। সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ এর পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু কায়েস বিন আজিজ বলেন, আমরা খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য খামারীদের বিভিন্ন ধরণের উপকরণ প্রদান করছি।

খামারীরা এই উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে সুন্দর সাবলীল ভাবে খামার পরিচালনা করতে পারবেন। এতে গবাদী পশুর উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে যা জাতীয় অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখবে। আমরা আশা করব এই উপকরণ পেয়ে খামারীরা খামার করার প্রতি আরো বেশী উদ্বুদ্ধ হবে এবং প্রাণী সম্পদের সাথে আরও বেশী জরিত হবে। এসময় উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ নিহারঞ্জন প্রামানিক, উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান রিমন, সেতাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোঃ শামসুল আলম সহ এলাকার সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।