স্কোয়াশ চাষে সফল দিনাজপুরের এখলেসুর

গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে হলুদ ফুল আর সবুজ ও হলুদ স্কোয়াশ ফল। আর এই স্কোয়াশ সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের কণাই গ্রামে কৃষক এখলেসুর রহমান বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছে। এবছরে তিনি দুই কালারের স্কোয়াশ চাষ করেছেন।
স্কোয়াশ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কৃষক এখলেসুর রহমান। তার সফলতা দেখে স্কোয়াশ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন অনেক কৃষক। এই বিদেশি ফল চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে কাজ করছেন কৃষি বিভাগ।
জানা যায়, এখলেসুর কয়েক বছর ধরে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন লাভজনক ফসল আবাদ করে এলাকায় ব্যপক সাড়া ফেলেছে। এখলেসুর রহমান এবছর ২০ শতক জমিতে স্কোয়াশ চাষ করেছেন। কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী, তিনি মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। গত ডিসেম্বরে ৮০০ স্কোয়াশ চারা রোপণ করেছিলেন। তিনি প্রতিটি গাছে ১০টি করে স্কোয়াশ ফল হবে বলে আশা করেন। দুই মাসের মধ্যে তিনি ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। এছাড়াও এখলেসুর এবার রঙিন ফুলকপি, উন্নত জাতের আলু চাষ করছে।
স্থানীয় কৃষক সাদেকুল বলেন, আমি এই ফলটি আজকে দেখলাম। এখলেসুর ভাইয়ের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম যে এই ফল চাষ করে মুনাফা অর্জন করা যায় এবং খেতেও অনেক সুস্বাদু । ভাইয়ের কথা শুনে আমিও আগামীবছর পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করবো।
সদর উপজেলার যুবক শামসুল বলেন, স্কোয়াশ একটি বিদেশি ফল। আমাদের এলাকার মাটিতে এত সুন্দর ফল হবে তা কখনও কল্পনাও করিনি। এখলেসুর ভাই ২০ শতক জমিতে স্কোয়াশ চাষ করে যে টাকা লাভবান হবে তা অন্য আবাদে সম্ভব নয়।আমি পড়ালেখার পাশাপাশি আগামী বছর চারা সংগ্রহ করে এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী স্কোয়াশ চাষ করবো।
কৃষি উদ্যোক্তা এখলেসুর রহমান বলেন, আমি আধুনিক পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করেছি। এই স্কোয়াশ আবাদ করতে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশা করি এখানে ৭০ থেকে ৮০ টাকার মতো বিক্রি হবে। আমি আগামী বছরে বড় আকারে চাষ করব।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘চাষিরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত সবজি উৎপাদন করছেন।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ২৫ বছরের পরিকল্পনার আওতায় কৃষকদের আরও সহায়তা দেওয়া হবে। যাতে তারা সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ন্যায্য মূল্য পায় এবং দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ২০ শতক জমিতে মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচ করে দুই মাসের মধ্যে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভবান হওয়ার ঘটনা কৃষকদের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাষিদের এই সাফল্য দেশের কৃষি ক্ষেত্রের জন্য আশাব্যঞ্জক। কৃষি বিভাগের সহায়তায় চাষিরা যে উচ্চমানের ফলন পেতে শুরু করেছেন। তা দেশের কৃষির ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল করছেন।
আপনার মতামত লিখুন