খুঁজুন
বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫, ১৮ আষাঢ়, ১৪৩২

বীরগঞ্জে বাংলা নববর্ষ ঘিরে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:০২ অপরাহ্ণ
বীরগঞ্জে বাংলা নববর্ষ ঘিরে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

বাংলা নববর্ষ মেলায় ব্যবসা করার জন্য পণ্য তৈরিতে রাত-দিন কাজ করে চলেছেন মৃৎশিল্পীরা
আর দু’দিন পরই পহেলা বৈশাখ।। বাঙালিদের পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার গ্রামাঞ্চলে ছোট কিংবা বড় মেলাসহ নানান উৎসব-অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। আর এসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে বেড়ে যায় মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা।

বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের পালপাড়া নামে পরিচিত এলাকায় দেখা যায়, মেলায় ব্যবসা করার জন্য পণ্য তৈরিতে রাত-দিন কাজ করে চলেছেন মৃৎশিল্পীরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির আঙ্গিনায় মাটির তৈরি জিনিসগুলো রোদে শুকানোর পর আগুনে পুড়িয়ে নিপুণ তুলির আঁচড়ে বাহারি রঙে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে।

তারা বলছেন, মাটির তৈরি পুতুল, হাতি, ঘোড়া, ময়ূর, কবুতর, মোরগ, দোয়েলপাখি, মাছ, হাঁড়ি, বাটি, মাটির ব্যাংক, দইয়ের খুঁটি/বাটিসহ ঐতিহ্যবাহী মাটির গয়না প্রভৃতির চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। তাই ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।

চৈত্রের শেষে এখন চলছে তাদের শেষ সময়ের কাজ। কেউ মাটির তৈরি জিনিসপত্র পোড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনেকে রং করছে, কোনো কোনো বাড়িতে এখনও নিপুণ হাতে কাঁচা মাটির সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে।
পালপাড়ার মৃৎশিল্পী চৈতন্য পাল বলেন, রঙ দিয়ে এবং বিভিন্ন কারুকাজ করে আমরা এ মাটির তৈরি তৈজসপত্র ও খেলনা তৈরি করি। তবে এই সময়ে আমাদের ব্যস্ততা একটু বেড়ে যায়। তিনি মনে করেন, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী এসব পণ্যের বেচা-কেনা বাড়লে বছরের লোকসান কাটিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে মৃৎশিল্পীরা।

একই এলাকার সন্ধ্যা রানী পাল, স্বপনা রানী, প্রফুল্ল পাল, বিকাশ পাল, নিবার্ণ পাল ও তাপস পালসহ ২০/২৫ জন মৃৎশিল্পীরা তাদের তৈরি জিনিসগুলো পহেলা বৈশাখের মেলাসহ এলাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে থাকেন।

যদিও প্লাস্টিকের পণ্য বাজার দখল করে নেওয়ায় মাটির তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা কমে গেছে। তারপরও বাপ-দাদার এ পেশাকে এখনও ধরে রেখেছেন তারা। পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রশিক্ষণ পেলে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন মৃৎশিল্পীরা।

এ বিষয়ে সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগর পালপাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পী দিপালী রানী বলেন, ‘বাড়িভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই। পরিবারের সদস্য চারজন। বিয়ে হওয়ার পর ২২ বছর থেকেই স্বামীর সঙ্গে এ পেশায় জড়িত। আগে মাটির আসবাবপত্রর ভালোই চাহিদা ছিল, সংসার ভালোই চলত। কিন্তু এখন চাহিদা কম, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। স্বামী চৈতন্য পাল সংসারের খরচ জোগাতে কাজের পাশাপাশি ভ্যান চালায়।’

এ ব্যাপারে সাতোর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন রাজা জানান, আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু মৃৎশিল্পী রয়েছে। তাদের কর্মব্যস্ততা আগের মতো নেই বললেই চলে। সাহায্যের বিষয়ে যারা আসে, যতটুকু পারি তাদেরকে সহযোগিতা করে থাকি। মৃৎশিল্পীরা আমার কাছে এলে অবশ্যই সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করবো।

বোচাগঞ্জে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসের অভিযান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৬:০০ অপরাহ্ণ
বোচাগঞ্জে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসের অভিযান

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌরসভার স্বপ্না নার্সারি ও বোচাগঞ্জ নার্সারিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন বোচাগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল হুদা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা।

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা উৎপাদন, রোপণ ও বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, “বোচাগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে মোট ৩৩টি নার্সারি রয়েছে, যার মধ্যে ২২টি নার্সারি সরকারিভাবে নিবন্ধিত। এই নিবন্ধিত নার্সারিগুলোকে প্রতিটি গাছের জন্য ৪ টাকা হারে প্রণোদনা প্রদান করা হবে।”

সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল হুদা বলেন, “খোলা বাজারে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “নিবন্ধনবিহীন কোনো নার্সারিকে প্রণোদনা দেওয়া হবে না। বরং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এসব উদ্ভিদ অপসারণে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও জোরদার করা হবে।”

দিনাজপুর বোর্ডে ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় বহিষ্কার ৬, অনুপস্থিত ১৭৫৭

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৫:১৭ অপরাহ্ণ
দিনাজপুর বোর্ডে ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় বহিষ্কার ৬, অনুপস্থিত ১৭৫৭

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি (আবশ্যিক) ১ম পত্র পরীক্ষায় ছয় পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া এ দিন ১ হাজার ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী জানান, এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় এক লাখ ২ হাজার ৮৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ১ হাজার ১৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এ পরীক্ষায় গাইবান্ধায় দুই জন ঠাকুরগাঁওয়ে চার জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষায় ১ হাজার ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
দিনাজপুর বোর্ডের অধীন আট জেলার অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে – রংপুরে ২৫৬ জন, গাইবান্ধায় ২৩৭, নীলফামারীতে ১৮৯, কুড়িগ্রামে ২৯৮, লালমনিরহাটে ১৪৭, দিনাজপুরে ৩৩৯, ঠাকুরগাঁয়ে ১৫০ ও পঞ্চগড় জেলায় ১৪১ জন।
এছাড়া সব কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় একটি সুপরিকল্পিত ও সফল বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে কলেজ চত্বরে ফলজ, বনজ এবং ঔষধি—এই তিন শ্রেণির নানা প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মো. আবু তাহের সিদ্দিকী—জামায়াতে ইসলামীর দিনাজপুর জেলা ইউনিট সদস্য এবং সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. মাহবুব আলম—জামায়াতে ইসলামীর বোচাগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারি।

অনুষ্ঠানে আরও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুবোধ চন্দ্র রায়—অধ্যাপক, রসায়ন বিভাগ, সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজ এবং জামায়াতে ইসলামী বোচাগঞ্জ উপজেলার যুব বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ।

উপজেলা শিবির সভাপতি আব্দুল মোহাইমিনুল-এর সক্রিয় উপস্থিতি ও তত্ত্বাবধানে পুরো কর্মসূচিটি সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়। তিনি বলেন,
“প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা এবং আগামী প্রজন্মকে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ।”

পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছাত্রদের মাঝে এ কর্মসূচি ব্যাপক উৎসাহ তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক ও অংশগ্রহণকারী ছাত্ররা।