চন্ডিপুর এম দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে একই মাঠে অন্য একটি মাদ্রাসা স্থাপন করার অভিযোগ

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর এম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ মোখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার একই মাঠে চন্ডিপুর ইসলামীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নামে একটি অবৈধ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার অভিযোগ করেছেন চন্ডিপুর গ্রামের বসবাসকারী মোঃ রকিবুল ইসলাম।
রকিবুল ইসলাম তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ১৯৮৭ সালে চন্ডিপুর এম দাখিল মাদ্রাসাটি স্থাপন করার পর ১৯৯৮ সালে মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্ত হয়। বর্তমান মাদ্রাসাটির সুপার মোখলেছুর রহমান ও সহ-সুপার সাদেকুল ইসলাম যোগ সাজস করে গ্রামবাসীকে না জানিয়ে গোপনে নতুন মাদ্রাটির কমিটি গঠন করে ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্য করার পাশাপাশি সুপারের ছেলেকে ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। অবৈধ ভাবে স্থাপিত মাদ্রাসাটির কমিটি গঠন ও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি তদন্তপূর্বক মাদ্রাসার চলমান কাজ স্থগিত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ও সচিবালয়ে লিখিত অভিযোগে করেছেন রকিবুল ইসলাম ।
এ বিষয়ে রকিবুল ইসলাম জানান, এখানে আগে থেকেই একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে তারপরও মাদ্রাসার সুপার মোঃ মোখলেসুর রহমান তথ্য গোপন করে এখানে নতুন ভাবে চন্ডিপুর ইসলামিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নামে একটি প্রতিষ্ঠান করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম সেখানে একই রকম দুইটি প্রতিষ্ঠান, একই সিলেবাস এবং একই রকম বই পুস্তক হওয়ার কারণে চন্ডিপুর এম দাখিল মাদ্রাসাটি বর্তমানে মারাত্বক হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে। এখানে যাতে নতুন করে মাদ্রাসা না হয় সে জন্য আমরা এর প্রতিবাদ করছি। এ বিষয়ে চন্ডিপুর এম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোখলেছুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, চন্ডিপুর ইসলামীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন থেকেই মাদ্রাসাটি চালু আছে। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো এমপিও ভুক্ত করার আশ্বাস প্রদান করায় আমরা নিময়তান্ত্রিক ভাবে সেটি হালনাগাদ করার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে সহ-সুপার সাদেকুল ইসলাম বলেন, চন্ডিপুর ইসলামীয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাটি হচ্ছে একটি পুরাতন মাদ্রাসা ১৯৮৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অবহেলিক অবস্থায় ছিল। বর্তমান সরকার রাষ্ট্রভার গ্রহন করার পর মাদ্রাসাগুলিতে সু-দৃষ্টি দেয়ার পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষনা দেয় পর্যায়ক্রমে মাদ্রাসাগুলো এমপিও ভুক্ত এবং সরকারী করণ করা হবে। এই সু-সংবাদ শুনে এলাকার কিছু স্বার্থানেষী মানুষ মাদ্রাসাটির বিরোধীতা করে এর কার্যক্রম বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফ হাসান জানান, চন্ডিপুর এম দাখিল মাদ্রাসার একই মাঠে নতুন করে আরো একটি মাদ্রাসা স্থাপন করার বিষয়টি আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি।
আপনার মতামত লিখুন