
বগুড়ার শাজাহানপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দু’জন নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ ও অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে মাঝিড়া বন্দর এলাকায় ঢাকা- বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ এবং রাস্তার ওপর আগুন জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
ফলে বনানী থেকে শেরপুর এলাকা পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে রোজাদার ব্যক্তি ও যাত্রীরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে এলাকাবাসী দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে অবরোধ তুলে নেন।
জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে মাঝিড়া বন্দর এলাকায় বেপরোয়া গতির ট্রাকের ধাক্কায় মিরাজুল ইসলাম (২৫) নামের রিকশা চালক নিহত হন। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার গয়নাকুড়ি গ্রামের হাজেল মিয়ার ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক ট্রাক আটক করা হয়। তবে চালক ও হেলপার কৌশলে পালিয়ে যান।
একইদিনে, মাঝিড়া বন্দর এলাকায় বেলা তিনটার দিকে সড়ক পারাপারের সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত হন। এসময় একই স্থানে বার বার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং তারা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এলাকাবাসীর দাবি, মাঝিড়া বন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি এলাকার সড়কে ওভারপাস বা আন্ডারপাস নির্মাণ করতে হবে। মৌখিক নয়, লিখিত আশ্বাস চায়। বিক্ষোভ শুরু হলে বিপুলসংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ গিয়ে অবস্থান নেয়। তারা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। তবে বিক্ষোভকারীরা কোনো কথা না শোনে তাদের বিক্ষোভ চালিয়ে যান৷ তাদের এই বিক্ষোভের কারণে বনানী থেকে শেরপুর পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। রোজাদার যাত্রীরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন এবং রাস্তার মাঝখানেই তারা ইফতার গ্রহণ করেন। পরে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট টিএম ইমরুল কায়েস ঘটনাস্থলে পৌঁছান। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তার গাড়ি দেখেই লাঠি নিয়ে এগিয়ে যায় বিক্ষুব্ধরা। ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেয়। পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলেন এবং দীর্ঘ আলোচনার পর তাদেরকে শান্ত করেন এবং সাতটার দিকে তারা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টিএম ইমরুল কায়েস বলেন, মাঝিড়া বন্দরে ওভারপাস হওয়ার কথা ছিল কিনা, জানা নেই। এখানে ওভারপাস নির্মাণের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয় অবগত হয়েছেন। শিগগিরই এখানে ওভারপাস নির্মাণ বাস্তবায়ন করা হবে।