খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

বোচাগঞ্জে নারী ও শিশু ধর্ষন বন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল

মোঃ শামসুল আলম
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ
বোচাগঞ্জে নারী ও শিশু ধর্ষন বন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে সোমবার নারী ও শিশু ধর্ষন বন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীসহ শত শত সচেতন নারী ও পুরুষ। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মাগরিবের নামাজ শেষে সেতাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলে দলে উপস্থিত হন শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ । এসময় তারা ধর্ষন বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলে কেন্দ্রী শহীদ মিনার চত্ত¡র। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় একটি শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলে তুমি কে আমি কে আছিয়া, আছিয়া, আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকদের ঠাই নাই। উই ওয়ান্ট জাস্টিসসহ বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে শহীদ মিনারে এসে পৌছালে সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যদেন মেলাগাছি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা বুলবুল। এসময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-২-বিরল বোচাগঞ্জ আসন হতে জাতীয় নাগরিক কমিটির এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তাকারী সংস্থার বিভাগীয় পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন, ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ ফয়সাল মোস্তাক, প্রীতি, সাধারণ শিক্ষার্থী যথাক্রমে মোছাঃ, মাসুমা মনি, মোঃ রিফাত হোসেন, সুমন, মোঃ সাকিব, মোঃ শান্ত, মোঃ রিদয়, কবির, রাতুল, রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিপণের ২৫ লাখ দেওয়ার পরও খোঁজ নেই মিলনের, মানবন্ধন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৪৯ অপরাহ্ণ
মুক্তিপণের ২৫ লাখ দেওয়ার পরও খোঁজ নেই মিলনের, মানবন্ধন

মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা দিয়েও মিলনকে ফিরে পাননি তার বাবা। প্রায় ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও ছেলেকে ফিরে না পেয়ে ভেঙে পড়েছে পরিবারটি। মিলন হোসেন (২৩) পীরগঞ্জ উপজেলার ৩ নং খনগাঁও ইউনিয়নের চাপাপাড়া এলাকার বাসিন্দা পানজাব আলীর ছেলে। তিনি দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র। অপহৃত হওয়া ওই কলেজ শিক্ষার্থীকে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে এবং অপহরণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁওবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধনে অংশ নেন মিলনের পরিবারসহ এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা। মানববন্ধনটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তার কাছে এসে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিলনের মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে অপহরণ করে তারা কোথায় রেখেছে, জানি না; কেমন আছে, জানি না। অপহরণকারীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল, আমরা গরিব খেটে খাওয়া পরিবার সবকিছু বিসর্জন দিয়ে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েছি। মুক্তিপণের দাবি পূরণ করার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও তারা আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়নি।’

তিনি দ্রুত মায়ের কোলে ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার এবং অপহরণকারীদের আটক করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক কলেজের পেছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মিলন। ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে অপহরণকারীরা ভুক্তভোগী পরিবারকে মোবাইলফোনে অপহরণের বিষয়টি জানায়। প্রথমে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা চায় তারা। পরদিন দুপুরে ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় মিলনের পরিবার। তবে পরবর্তীতে চক্রটি ৫ লাখ টাকা দাবি করে, এরপর মুক্তিপণ বেড়ে ১০ লাখ হয়। তিনদিন পর ১৫ লাখ টাকা দাবি করে তারা। সবশেষ ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

৯ মার্চ রাতে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকাগামী ১০টার ট্রেনে উঠতে বলে অপহরণকারীরা। এরপর পীরগঞ্জের সেনুয়া এলাকায় চলন্ত ট্রেন থেকে ২৫ লাখ টাকার ব্যাগটি বাইরে ফেলে দিতে বলে তারা। মিলনের জন্য দুই সেট পোশাকসহ ২৫ লাখ টাকা ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ১০ মিনিট পর অপহরণকারী চক্রটি টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরদিন তারা জানায়, দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে অপহৃত মিলন পাওয়া যাবে। কিন্তু স্টেশনে গিয়ে মিলনকে পাওয়া যায়নি।

লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি

আজকের বোচাগঞ্জ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:৪৮ অপরাহ্ণ
লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি

oppo_0

দিনাজপুর জেলায় আম ও লিচু বাগানের সংখা অনেক। প্রতিটি বাগানের নিচের অংশে হাজার হাজার একর জমি ফাকা পড়ে থাকে। সেই পতিত(বাগানের নিচে)র জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষ শুরু করেছেন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার নেহালগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক হুমায়ুন কবির জনি। প্রথমবার মিষ্টি কুমড়া চাষ করে তিনি পেয়েছেন সফলতা। মিষ্টি কুমড়া চাষ করে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছেন তিনি। তার সফলতা দেখে আম/লিচু বাগানে কুমড়া চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষক। আম/লিচু বাগানে কুমড়া চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। জানা গেছে, হুমায়ুন কবির জনি দিনাজপুর থেকে ১ হাজার দুইশতটি বীজ কিনে এনে বাসায় চারা তৈরি করেন এবং এক একর জমির লিচু বাগানে সেই চারা রোপণ করেন। গত জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন জাতের মিষ্টি কুমড়ার চারা রোপণ করে প্রতিটি কুমড়া গাছে ১০টির বেশি কুমড়ার অংকুর হলেও তিনি ৫ থেকে ৬টি কুমড়া সংগ্রহ করছেন। লিচু বাগানে হুমায়ুন কবির জনির মিষ্টি কুমড়া আবাদ দেখতে আসা কৃষক আঃ রহিম বলেন, ‘আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে আজ লিচুর বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি দেখতে এসেছি। দেখে খুব ভালো লাগল। আমিও আগামী বছর আমার আম বাগনে মিষ্টি কুমড়া চাষ করব।’ কৃষি উদ্যোক্তা হুমায়ুন কবির জনি বলেন, ‘আমি লিচু বাগানে তিন জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। এই কুমড়া আবাদ করতে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশা করি, এই মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মতো আয় হবে।’ লিচু বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষের এই পদ্ধতি কোথায় থেকে পেয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এই পদ্ধতি নিজে চিন্তা করে প্রয়োগ করেছি। কারণ লিচু বাগানের নিচের পতিত জমিটি সাধারণত পড়ে থাকে। তাই আমি প্রথমবার সেই পতিত জমিতে কুমড়া চাষ করেছি এবং সফলতা পেয়েছি।’ বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার শাহা বলেন, ‘বোচাগঞ্জ উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নে হুমায়ুন কবির জনি নামের এক কৃষক এক একর জমিতে প্রথমবারের মতো লিচু বাগানে কুমড়া আবাদ করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা তাকে কারিগরি পরামর্শ প্রদানসহ বিভিন্ন সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে এবং কৃষক লাভবান হবেন। আমি হুমায়ুন কবির জনির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

বোচাগঞ্জে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

মোঃ শামসুল আলম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:১৪ অপরাহ্ণ
বোচাগঞ্জে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

“আমিষেই শক্তি, আমিষেই মুক্তি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে বৃহস্পতিবার খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ করেছে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর বোচাগঞ্জ।

সকাল ১১টায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর হতে খামারী ও সুফল ভোগীদের মাঝে গবাদী পশু ও পাখির খাদ্য, মেডিসিন, ভ্যাকসিন, গবাদী পশু ও পাখির ঘর নির্মাণ উপকরণ, প্রযুক্তি উপকরণ, চপার মেশিন, বিতরণের অংশ হিসেবে ৩০জন জন সুফল ভোগীর প্রত্যেককে ১টি ট্রোলী, ১টি বেলচা, ২পিছ ফ্লোরমেট ও ১পিছ ল্যাক্টো মিটার মেশিন দেয়া হয়েছে। সুফল ভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ এর পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু কায়েস বিন আজিজ বলেন, আমরা খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য খামারীদের বিভিন্ন ধরণের উপকরণ প্রদান করছি।

খামারীরা এই উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে সুন্দর সাবলীল ভাবে খামার পরিচালনা করতে পারবেন। এতে গবাদী পশুর উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে যা জাতীয় অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখবে। আমরা আশা করব এই উপকরণ পেয়ে খামারীরা খামার করার প্রতি আরো বেশী উদ্বুদ্ধ হবে এবং প্রাণী সম্পদের সাথে আরও বেশী জরিত হবে। এসময় উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ নিহারঞ্জন প্রামানিক, উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান রিমন, সেতাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোঃ শামসুল আলম সহ এলাকার সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।